সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বরিশাল মহানগর ও জেলার কমপক্ষে ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। শনিবার (৯ জুলাই) চট্টগ্রামের চন্দনাইশ জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরীফ এবং আহমাদিয়া জামাতের (কাদেরিয়া তরিকার) অনুসারীরা এই ঈদ উদযাপন করছেন। অনুসারী প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক পরিবারে চলছে ঈদের আমেজ।
এসব গ্রামে সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদের জামাত।
পূর্ব হরিনাফুলিয়া চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মমিন উদ্দিন কালু জানিয়েছেন, বরিশাল নগর ও জেলার বিভিন্ন গ্রামে হাজার হাজার পরিবারে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি। আমরা যুগ যুগ ধরে এভাবেই ধর্মীয় আচার পালন করি। আমাদের মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আবু জাফর। এ ছাড়া নগরীর ২২, ২৩, ২৪, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠী হাজিবাড়ির জাহাগীরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, গাজকাঠি, সাগরদী এলাকার প্রায় ৫শ পরিবার ত্যাগের মহিমায় আজ ঈদ উদযাপন করছে। আমাদের মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা গ্রামের আব্দুর রশীদ শিকদার স্মৃতি জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, চন্দনাইশ দরবার শরীফের সবাই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে। খানপুরাসহ কেদারপুর, মাধবপাশা এবং আশপাশের আরও ৬/৭টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছে।
তিনি জানান, বরিশাল সদর উপজেলার ৫টি গ্রাম এবং মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদী উপজেলায় চন্দনাইশ দরবারের কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষ আজ ঈদ পালন করছেন।