সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডের ভ’য়াবহ বি’স্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে ঢাকায় আনা হচ্ছে

প্রতিনিধির নাম / ১০৯ বার
আপডেট : রবিবার, ৫ জুন, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
গতকাল রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্য ও তার আরেক সহকর্মীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মো. তুহিন। তিনি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কনস্টেবল। তার সঙ্গে একই থানার গুরুতর আহত কনস্টেবল কামরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া আরও পাঁচ কনস্টেবল হলেন- ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ ১০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। আর ফায়ার সার্ভিসের ৩০ জন।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও নিয়ন্ত্রনে আসেনি আগুন। কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনার পরই আবার বিস্ফোরণ হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের।

গতকাল রাত ৮টার পর বিএম কন্টেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুনের সূত্রপাত হয়। কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কন্টেইনার থেকে অন্য কন্টেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কন্টেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, স্থানীয় শ্রমিকসহ অনেকে হতাহত হন।

এতে দগ্ধ হয়েছেন চার শতাধিক মানুষ। আর নিহত হয়েছেন ২১ জন। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মী রয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে আগুন নেভানোর বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের একজন কর্মকর্তা বলেন, যেভাবে বিস্ফোরণ হচ্ছে তাতে আমাদের পক্ষে ভেতরে থাকা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আমরা ডিপোর মেইনগেটে চলে এসেছি। একটানা কাজ করতে গিয়ে পানির সংকটেও ভুগতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।

আগুন নেভানোর কাজ কখন শেষ হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেফটি ফার্স্ট। বিস্ফোরণ যেভাবে হচ্ছিল তাতে ভেতরে থাকা সম্ভব ছিল না। আগুন কতক্ষণে নেভাতে পারব, এ বিষয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ