সিঙ্গাপুরের চিঠি: মেয়েদের দেখে ‘হিংসা’ হয়
বর্তমানে পুরো বাংলাদেশেই বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেড়ে গেছে। আর বিচ্ছেদ চাইছেন বেশি নারীরাই, পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে নারীরা বিচ্ছেদ চাইছেন।
তাহলে কী ধরে নেব, সব মেয়েই খারাপ, এজন্য তারা নিজেরাই নিজেদের সংসার ভাঙছেন! নাকি বিচ্ছেদ চাইতে বাধ্য হচ্ছেন তারা?
খুব ভালো করে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থাটাই এতো বেশি জটিল যে মেয়েরা সংসার করতে পারছে না। তার ওপর আবার স্বামীদের পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তো আছেই।
মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পরদিনই বাড়ির কাজ ভাগাভাগি শুরু হয়ে যায়। তখন অবস্থা দেখলে মনে হয়, তাদের ছেলেটি বিয়ে করে তার জীবনসঙ্গী নয়, এনেছে একজন কাজের বুয়া।
পেশা সচেতন মেয়েরা সন্তান হওয়ার আগ পর্যন্ত কষ্ট হলেও চাকরিটা চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু সন্তান হওয়ার পর মেয়েরা আর পারছে না। আমার কয়েকজন চাকরিজীবী বান্ধবীকে দেখছি, সন্তান হওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দিয়েছে।
চাকরি ছাড়ার পর এভাবেই মেয়েরা সন্তানের মা হবার পাশাপাশি পরিবারের একজন ‘পূর্ণকালীন বুয়া’ হয়ে যায়। একজন বুয়ারও নির্দিষ্ট একটা কর্মঘণ্টা থাকে, বেতন থাকে যা দিয়ে সে ইচ্ছেমত কেনাকাটা করতে পারে। কিন্তু স্ত্রী নামক ‘বুয়া’টির আর সেই স্বাধীনতা থাকে না।
যে মেয়েটার হাতে এক সময় প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আসতো, এখন তাকে একজোড়া জুতা কিনতে হলেও স্বামীর কাছে হাত পাততে হয়। স্বাভাবিকভাবেই চাকরিজীবী মেয়েরা এই অবস্থাটি মেনে নিতে পারে না।
ফলে আবারও তারা কর্মজীবনে ফিরতে চায়। আর কর্মজীবনে ফেরা মাত্রই স্ত্রী নামক বুয়াটি স্বামী বা সংসার থেকে উধাও হয়ে যায়, যা পরবর্তীতে সংসারে অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল