ছবি সংগ্রহীত
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে দোকানঘর ও বসতঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের ফরিদপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মীরের গট্টি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত দুইটি দোকান ও ১৮টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গ্রাম্য মাতুব্বর চাঁন মিয়ার সমর্থক তুরাপ মাতুব্বরের সঙ্গে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ইব্রাহিম খানের সমর্থক আবু মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে রিবোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকেলে চাঁন মিয়ার সমর্থক তুরাপ মাতুব্বরের ভাই আবু মাতুব্বর বসতঘর উঠাতে যান।
সে সময় বাধা দেন তুরাপ মাতুব্বর। এনিয়ে তুরাপ ও আবু মাতুব্বরের কথা-কাটাকাটির মধ্যে দিয়ে একপর্যায়ে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার সকালে চাঁন মিয়ার সমর্থক তোরাপ মাতুব্বর বসতঘরে হামলা চালায় ইব্রাহিমের সমর্থকরা।
খবর পেয়ে চাঁন মিয়ার সমর্থকরা এসে এককভাবে হামলা চালিয়ে দুইটি দোকানঘর ও ১৮টি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এ সংঘর্ষে উভয়গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সালথা থানার পুলিশ। আহতদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।