পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ীর টানে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। বিকেলের পর থেকে মহাসড়কে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। সঙ্গে ট্রাক ও রিজার্ভ গাড়ির চাপও বাড়তে শুরু করেছে। যাত্রীর চাপ বাড়ায় সাভারের মহাসড়কে প্রায় ২১ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল থেকে চন্দ্রা প্রায় ১৩ কিলোমিটার, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে ইটখোলা প্রায় ৫ কিলোমিটার ও আশুলিয়া বাজার থেকে ধউর পর্যন্ত ৩ কিলোমিটারসহ প্রায় ২১ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মিরপুর থেকে মাকে নিয়ে জামগড়া আসার পথে ধউর বেড়িবাঁধে যানজটে আটকা পড়েন ইব্রাহিম মিয়া। তিনি বলেন, আশুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ১০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। চরম ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ।
ছুটি পেয়ে নাটোর যাচ্ছেন আরেফিন। তিনি বলেন, বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজটে পড়তে হয়েছে। বাইপাইল থেকে জিরানী বাজার পর্যন্ত তীব্র যানজটে পড়তে হয়েছিল। বিকেলের পরে আরও যানজট বাড়বে। বাইপাইল থেকে চন্দ্রা যেতে সময় লাগছে প্রায় ৩ ঘণ্টা। যেখানে ২০ মিনিটের মতো স্বাভাবিক সময় লাগে। যানজট এড়াতে দ্রুত বের হয়ে কষ্ট হলেও বাড়ি রওনা করেছি। কিন্তু তারপরও যানজটে পড়তে হয়েছে।
আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক রিপন বলেন, সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এ ছাড়া গরুর ট্রাক একের পর এক ঢুকছে ঢাকার দিকে। এ কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে যাত্রীর সঙ্গে আরও গাড়ির চাপ বাড়বে। এ সময় চরম যানজটের শঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, আমাদের হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২ শতাধিক পুলিশ কাজ করছে। তারা যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।