নরসিংদী খবর ডেস্ক: সুবিশাল সমুদ্র। আর তার বুকে ছুটে চলেছে বিশাল জাহাজ। যেখানে আপনি বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই পেয়ে থাকবেন।
তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে বলেনতো! বিশ্বজুড়ে এমনই বড় বড় কিছু জাহাজ রয়েছে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এই সব জাহাজগুলোর সাথে অনেকে প্রায়ই বড় বড় বিল্ডিংয়ের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।
যেমন- ঊসঢ়রৎব ইঁরষফরহম, ইঁৎল কযধষরভধ, ঈঝ ঞড়বিৎ, এবং চবঃৎড়হধং ঞড়বিৎ। অধিকাংশ মানুষ ধারণা করে থাকে, টাইটানিকই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ। বর্তমানে মানুষ টাইটানিকের সাথে আরো অনেক বড় বড় জাহাজের সাথে তুলনা করে।
তাহলে চলুন আজ তেমনই কিছু জাহাজ সম্পর্কে জেনে নেই-
ঈংপষ গ্লোব: সাউথ কোরিয়ার উলসানে ঐুঁহফধর ঐবধাু পড়সঢ়ধহু দ্বারা নির্মিত সবথেকে বড় জাহাজ এটি। জাহাজটি নির্মাণ করা হয় ২০১৪ সালে। এটি ১২০০ ফুট লম্বা ২০০ ফুট চওড়া এবং ১০০০ ফুট গভীর। আয়তনের হিসাবে ৪ টি ফুটবল মাঠের সমান। তৎকালীন সময়ের সবথেকে বড় জাহাজ ধরা হতো এটিকে। এটির ছিল সবথেকে বড় ইঞ্জিন যা ৬৯ হাজার ৭২০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারতো।
সমুদ্রের মরুদ্যান: ঙধংরং ঙভ ঞযব ঝবধং বা সমুদ্রের মরুদ্যান বড় বড় সামুদ্রিক জাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি ছিল ১২০০ ফুট লম্বা ২১৫ ফুট চওড়া এবং এটির ওজন ছিল ২ লক্ষ ২৫ হাজার টন। এই জাহাজে ২,৭৪২ টি ক্যাবিনে প্রায় ৭০০ গেস্ট থাকতে পারতো। এবং এর নাবিক সংখ্যা ছিল মোট ২,১০০ জন। বিশাল আকৃতির এ জাহাজটি জড়ুধষ ঈধৎরননবধহ এর একটি অংশ। এটার মধ্যে ছিল একটি সেন্ট্রাল পার্ক,১০ টি সুইমিং পুল, একটি থিয়েটার পুল, যার গভীরতা ছিল ৮ ফুট। এছাড়াও ছিল একটি বাস্কেট মাঠ, একটি ফিটনেস সেন্টার, এবং একটি মুভি থিয়েটার। যদি আপনি বোরিং ফিল করেন তবে আপনি এর ভেতরে সারপিংও করতে পারবেন।
আরএমএস কুইন মেরি ২: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ এটি । ছঁববহ গধৎু ২ অন্যান্য জাহাজের ন্যায় কোন বাস্প চালিত জাহাজ নয়। এটিতে রয়েছে চারটি ডিজেল চালিত ইঞ্জিন। যার ফলে এটি অন্যান্য জাহাজের তুলনায় বেশি দ্রুতবেগে চলতে পারে। মহাসাগর চলাচলের জন্য ছঁববহ ঊষরুধনবঃয ওও এর পরিবর্তে এটা তৈরি করা হয়েছিল। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ মাইল। এর মধ্যে আছে ১৫ রেস্টুরেন্ট, ৫ টি সুইমিংপুল,২ টি থিয়েটার, ১ টি ক্যাসিনো ও ১টি বল রুম। আর এটি পৃথিবীর প্রথম প্লারেটারিয়াম জাহাজ। আকৃতির বিশালতা আর সুনিপুণ নির্মাণশৈলীর জন্য ছঁববহ গধৎু ২ একটি অনবদ্দ নাম। এর ভিতরে রয়েছে ২ হাজার ৩৪ ফুট উম্মুক্ত জায়গা।
নিউক্লিয়ার আইস ব্রেকার: বিশ্বে একমাত্র দেশ হিসেবে রাশিয়া পারমাণবিক শক্তিতে চলা জাহাজ নির্মাণ করেছে। নিউক্লিয়ার আইস ব্রেকার নামের জাহাজটি সম্পূর্ণ বরফে ঢাকা জলে উত্তর মহাসাগরে চলে। ডিজেল ইঞ্জিনে চলা জাহাজের তুলনায় পারমাণবিক শক্তিতে চলা জাহাজ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। শীতকালে উত্তর মহাসাগরের জলেতে বরফের পুরুত্ব থাকে প্রায় ৭ ফুট এবং সাগরের উত্তর মেরুতে বরফের পুরুত্ব থাকে প্রায় ৮ ফুট। এই রপব নৎবধশবৎ জাহাজ বরফ ভেঙ্গে চলাচল করে। এবং এর গতিবেগ তখন ঘন্টায় প্রায় ১২ কিলোমিটার থাকে।
এমভি ব্লু মার্লিন: গঠ ইষঁব গধৎষরহ, এছাড়াও এটিকে বলা হয় ঐখঈ, ড়ৎ যবধাু ষড়ধফ পধৎৎরবৎ. যা ২০০০ সালে ডাচ কোম্পানি ডকোয়াস তৈরি করেছিল। এই জাহাজের ডিজাইন করা হয়েছিল আধা ডোবা জাহাজ বহন করার জন্য। সাধারণত জাহাজটি যুদ্ধের সময় নষ্ট হয়ে যাওয়া জাহাজ বহন করে থাকে। যখন জাহাজটি খালি করা হয় তখন এটি পুনরায় ভেসে ওঠে। জাহাজটি লম্বায় ১৩০০ ফুট এবং ওজন ৫৬ হাজার মেট্রিক টন। এই জাহাজের নাবিক সংখ্যা ৬০ জন এবং ক্যাবিন সংখ্যা ৩৮ টি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/ নরসিংদী খবর