নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী খবর ||
বিশ্বের টেক জায়েন্ট মেটার সবচেয়ে বড় কার্যক্রমের নাম ফেসবুক। এ ছাড়াও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ওয়ার্কপ্লেস, ওকুলাস, ম্যাপিলারি, পোর্টাল এবং ডিয়েম। বাংলাদেশে অবশ্য ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
কিছুটা জনপ্রিয়তা রয়েছে ইনস্টাগ্রামের। কিন্তু মেটার বাকি উদ্যোগগুলোর ব্যবহার একেবারেই দৃশ্যমান নয় বাংলাদেশে। কিন্তু যেই ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বাংলাদেশে জনপ্রিয়, তা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ধীরে ধীরে হারাচ্ছে তাদের ব্যবহারকারী। যুক্তরাষ্ট্রের এক জরিপ অনুসারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা হঠাৎ কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মেটা প্রধান মার্ক জাকারবার্গ।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। পিউ রিসার্চ সেন্টার এই সমীক্ষার তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে। এতে দেখা গেছে, ২০১৪-১৫ সালে ১৩-১৭ বছর বয়সি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭১ শতাংশ। বর্তমানে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩২ শতাংশে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, টিকটকের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ফেসবুকের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাটের পরিবর্তে এখন টিকটক বেশি ব্যবহার করছেন টিনেজাররা।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৬ শতাংশ টিনেজার নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মধ্যে মোট ৬৭ শতাংশ মানুষ শর্ট ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করেন এখানে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে ব্যবহারের দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ইউটিউব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯৫ শতাংশ তরুণ এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করেন। আর ৬৭ শতাংশ মানুষ টিকটক ব্যবহার করেন। এরপর আছে ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের নাম।
কি কারণে ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে ফেসবুকে?
বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের জন্য সবচেয়ে অস্বস্তির স্থান স্থানীয় আইন। প্রতিদিনই ইউরোপ-এশিয়াসহ খোদ ফেসবুকের জন্ম হওয়া যুক্তরাষ্ট্রে আদালতে যেতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিতে। এরপরও প্রতিনিয়ত আইনি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর নিয়ম মেনে চলতে নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন আরও জটিল করতে হয়েছে ফেসবুককে। সেই সঙ্গে তালেবান ইস্যু, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আরও বেশ কিছু ইস্যুতে বিগত এক বছরে অনেক বেশি ইউজার ফেসবুক স্ট্রাইকের কবলে পড়েছেন। কনটেন্ট ক্রিয়টরদের ক্ষেত্রেও ফেসবুকের গাইডলাইন মেনে চলা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফলে অনেকেই ফেসবুক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ফেসবুকের মতো এত বড় পরিসের কনটেন্ট শেয়ার করতে না পারলেও টুইটার এবং টিকটকে কমিউনিটি গাইডলাইন বেশ শিথিল। বর্তমানে ভিডিও শেয়ারের জন্য এ ধরনের আরও অনেকগুলো প্লাটফর্ম রয়েছে। ভিডিও কনটেন্ট শেয়ারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম এখনো ইউটিউব। বিশ্লেষকদের মতে, এর মূল কারণ এই প্লাটফর্মটি শুধু ভিডিও কনটেন্ট নিয়ে কাজ করে এবং যেকোনো দৈর্ঘ্যরে ভিডিও এখানে আপলোড করা যায়। ইউটিউবের জনপ্রিয়তার আরেকটি কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এখানে ‘এজ গ্রুপ’ অনুসারে ভিডিও ভাগ করে দেওয়া যায়। এমনকি সেনসেটিভ কনটেন্ট শেয়ার করার জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের একজন ইউটিউবার সজিব খান বলেন, ‘আসলে আমি ফেসবুক এবং ইউটিউব উভয়স্থানে কনটেন্ট শেয়ার করি। কিন্তু ফেসবুকে কনটেন্ট শেয়ার করার পর কমিউনিটি গাইডলাইন, কপিরাইট, ফ্যাক্টচেকসহ অনেকগুলো সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকি এখানে ট্রোল করে কিছু কনটেন্ট তৈরি করলেও তা কমিউনিটি গাইডলাইনে আটকে যায়। সবচেয়ে বিরক্তির বিষয় হলো প্রায় ২-৩ বছর আগের পোস্টের জন্যও কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গের স্ট্রাইক দেওয়া হচ্ছে। আবার এগুলো নিয়ে আপিল করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। অন্যদিকে ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন বেশ স্পষ্ট। এমনকি এখানে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড দেওয়ার সময়ই আপনি জানতে পারেন ‘কপিরাইট ভায়োলেশন’ হচ্ছে কি না। আর ফ্যাক্টচেক নিয়েও ঝামেলা পোহাতে হয় কম এখানে। ভিডিও কনটেন্টকে আপনি- কমিডি, নিউজ এবং স্পোর্টসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিতে পারছেন। ফলে আপনার অডিয়েন্স সুনির্দিষ্ট থাকছে। এ ছাড়াও টিকটকের মতো অ্যাপসের কথা যদি বলেন, স্বল্প সময়ে কম কষ্টে ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে আপনি আয় করতে পারছেন। ফেসবুকের ক্ষেত্রে সেটিও সম্ভব নয়। এ কারণেই আমাদের মতো কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ব্যবহার করছে অন্যান্য প্লাটফর্মে তার অডিয়েন্স বাড়াতে।’
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ফেসবুক এবং ইউটিউবের মধ্যকার আরেকটি সমস্যা হলো ‘অডিয়েন্স ফ্লো’ ধরে রাখা। অধিকাংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ভাষ্যমতে, ফেসবুক অনেকটা ব্লাকহোলের মতো। যতই কনটেন্ট দেওয়া হোক না কেন, কনটেন্ট ফ্লো কমে গেলে অডিয়েন্সের কাছে পরবর্তীতে ভালো কনটেন্টও পৌঁছায় না। ফলে এখানে আয় ‘স্ট্যাবাল’ হয় না। কিন্তু ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবের ব্যাংক তৈরি করতে পারলে ভিডিও ফ্লো পরবর্তীতে কম হলেও আয়ের ক্ষেত্রে তার প্রভাব থাকে সামান্য।
যখন এমনিতেই কনটেন্ট ক্রিয়েটররা বিরক্ত ফেসবুকের এসব আচরণবিধির কারণে, তখন ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন দুঃসংবাদ নিয়ে এলো মেটা। আরও কঠোর স্ট্রাইক দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই টেক জায়েন্ট প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি গার্ডিয়ানের টেক বিষয়ক এডিটর অ্যালেক্স হার্ন তার এক প্রতিবেদনে লেখেন, আপনি কী টেস্কো বা অ্যাপেলে সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে চাইবেন? আরও বাড়িয়ে বললে, আপনি কী সব গুরুত্বপূর্ণ সুপার মার্কেট অথবা গুগল সার্ভিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যান হতে চাইবেন। কার ক্ষেত্রে বিষয়টা কতটা ভয়ঙ্কর হবে তা আমি জানি না। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে অ্যাপেলে নিষিদ্ধ হওয়া মানে হলো, আমার স্মার্টফোন ব্যবহার অনুপযুক্ত হয়ে যাওয়া। গুগল সার্ভিসে নিষিদ্ধ হওয়া মানে আমার সব ই-মেইল সার্ভিস ধ্বংস হয়ে যাওয়া। অ্যামাজানে নিষিদ্ধ হওয়া মানে হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করে আমি যত বই এবং কমিক কিনেছি তার সব একসেস বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মাইক্রোসফটে নিষিদ্ধ হওয়া মানে আমার দামি এক্সবক্স ১০-এর দামি একটা পেপারওয়েটে পরিণত হওয়া।
তিনি আরও বলেন, একজন ই-কমার্স সাইট পরিচালনাকারীর জন্য ফেসবুক প্রমোশন বুস্ট (ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচার) আসলে কোনো অপশন নয়। বরং কেউ যদি এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ হয় তাহলে তার ব্যবসাকেই শেষ করে দেবে। একই কথা প্রযোজ্য অনলাইন (নিউজ, ব্লগ বা ভ্লগ) প্লাটফর্মগুলোর ক্ষেত্রে, যারা ফেসবুককে ব্যবহার করে তাদের অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছচ্ছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে আজীবন নিষিদ্ধ হওয়া মানে হলো আপনার সম্পূর্ণ ব্যবসাকে আবার শূন্য থেকে দাঁড় করানো।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমন উদাহরণ রয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি। বিশেষত নিউজপোর্টালগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা গেছে ফেসবুকে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে তাদের আয়ের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে বড় ধস নেমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এ ধরনের ঝামেলার কারণে বন্ধও হয়ে গেছে। বড় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের সমস্যা এড়াতে তৈরি করেছে ৫-৬টি ফেসবুক পেজ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইন বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফেসবুক স্ট্রাইকের খপ্পরে একবারও পড়তে হয়নি, এমন প্রতিষ্ঠান নেই বললেই চলে। রাজনৈতিক বিতর্কিত বিভিন্ন ইস্যু নিয়েও ফ্যাক্টচেকের ঝামেলা পোহাতে হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে। এই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের টেলিভিশন মিডিয়ার অনলাইনগুলো।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় ব্রডকাস্ট করা একটি চ্যানেলের অনলাইন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, কোভিড এবং তালেবান ইস্যু আমাদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে। ফেসবুক ২০২১ সালে যেই কমিউনিটি গাইডলাইন আপডেট করেছে তারা জন্য ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের পোস্টকেও তারা স্ট্রাইক দিচ্ছে। দৈনিক ১০০টির বেশি কনটেন্ট পাবলিশ করা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ৭-৮ বছরের পোস্ট রিভিউ করা সম্ভব নয়।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে আরও বলেন, বিবিসি বা এই মানের আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে হুবহু বাংলা অনুবাদ করে সংবাদ প্রকাশের পরও ফেসবুকে আমাদের কনটেন্ট ‘কমিউনিটি গাইডলাইন ভেঙেছে’ বলে নিষিদ্ধ করছে। কিন্তু ফেসবুকে প্রকাশিত বিবিসির সেই সংবাদ নিয়ে কোনো স্ট্রাইক নেই। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড কী, এটা বুঝতেই হিমশিম খেতে হয় অনেক সময়।
এদিকে ফেসবুকের ফ্যাক্টচেক পলিসি নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি গণমাধ্যমেরই রয়েছে হাজারটি অভিযোগ। একটি ইস্যু ধরে টানা ১০টি গণমাধ্যমকে স্ট্রাইক দেওয়ার পর দেখা যায় সেখানে একটি গণমাধ্যমে তথ্য সঠিক প্রদান করার পরও শুধু ইস্যু এক থাকায় স্ট্রাইক প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে রিপোর্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্ট্রাইক সরিয়ে নিলেও ভিজিটর ফ্লো আগের অবস্থানে আসতে লেগে যাচ্ছে ৩-৪ দিন। এই কয়দিনের ক্ষতিপূরণ দেবে কে? এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।
ফেসবুকের বর্তমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে, ‘ফ্যাক্টচেক ফলস নিউজ’, ‘পার্সিয়ালি ফলস নিউজ’ যার জন্য আপনাকে ১-৩ মাস পর্যন্ত স্বাভাবিক ফেসবুক রিচ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ‘রেড ফ্লাগড’ ফলস নিউজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নজিরও রয়েছে। অন্যদিকে কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গের ক্ষেত্রে এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত ফেসবুক রিচ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে এই উভয় ক্ষেত্রে প্রায়ই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয় ফেসবুক মনটাইজেশনের ক্ষেত্রেও। অর্থাৎ যতটুকুই রিচ হোক না কেন, সেখান থেকে আয় হবে শূন্য। অনেক সময় ‘মনটাইজেশন লিমিটেড’ করে দেওয়া হয়। ফল হিসেবে আপনার ভিডিও এক লাখ বার ভিউ হলেও আয় হয় ২০ সেন্ট বা এক ডলার।
ফেসবুকের সর্বোচ্চ নিষেধাজ্ঞা হলো আপনার পেজ, গ্রুপ বা প্রোফাইল আনপাবলিশড করে দেওয়া। অর্থাৎ একেবারে মুছে দেওয়া। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর ক্ষেত্রে এ ধরনের শাস্তির নজিরও কম নেই। মেটার নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে এ ধরনের শাস্তির মাত্রা বাড়লে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
বাস্তবতা হলো- বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এখনও বাড়ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। শুধু ফেসবুক নয়, অনলাইন সব প্লাটফর্মেই বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এর মূল কারণ আমাদের জনমিতি। তারুণ্যনির্ভর এই জনমিতি এখনো সব প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে হলে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের আরও বেশি ‘কমিউনিকেটিভ’ হতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। আশার বিষয় হলো- নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন ও ফ্যাক্টচেক পলিসি কঠোর করার পাশাপাশি ‘কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস’ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে মেটা। এই সার্ভিস কার্যকর হলে মেটা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়াতে সক্ষম হবে ফেসবুক। সেই সঙ্গে এখন যেমন স্ট্রাইক আলোচনার পথগুলো সংকোচিত, তখন সেই পথগুলো আরও প্রশস্ত ও বিস্তৃত হবে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আশা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /নরসিংদী খবর