বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

সতর্কবার্তাঃ ওমিক্রনের ভয়াবহতা নিয়ে যে নতুন ভয়ংকর তথ্য দিল জাপান!

রাব্বি মল্লিক, নরসিংদী খবর / ২০৫ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২২

ওমিক্রন নিয়ে নতুন তথ্য দিল জাপানের গবেষকরা। ওমিক্রন বেশি সময় মানুষের ত্বকে ও প্লাস্টিকের উপরিভাগে বেঁচে থাকে। প্লাস্টিকের উপরিভাগে এই ধরন বেঁচে থাকে ৮ দিন এবং মানুষের ত্বকে বেঁচে থাকে ২১ ঘণ্টা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিনের গবেষকেরা একাধিক পরীক্ষার পর এসব তথ্য জানিয়েছেন। তবে তাদের এই গবেষণা নিবন্ধের পর্যালোচনা এখনো সম্পন্ন হয়নি।

গবেষকেরা বলছেন, ওমিক্রন স্বাভাবিক পরিবেশে অপরিবর্তিত থাকে। এ কারণে অমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই ডেলটা পেছনে ফেলে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠেছে ওমিক্রন।

গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্লাস্টিকের উপরিভাগে আলফা, বিটা, গামা ও ডেলটা ধরন টিকে থাকতে পারে যথাক্রমে ৫৬ ঘণ্টা, ১৯১ ঘণ্টা, ১৫৬ ঘণ্টা, ৫৯ ঘণ্টা ও ১১৪ ঘণ্টা। কিন্তু ওমিক্রন বেঁচে থাকতে পারে ১৯৩ ঘণ্টা।

এই গবেষণার জন্য মৃতের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রথম ধরনটি সাড়ে ৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে মৃতের ত্বকে।

এর বিপরীতে আলফা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা, বিটা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৯ ঘণ্টা, গামা বেঁচে থাকে সাড়ে ১১ ঘণ্টা, ডেলটা বেঁচে থাকে সাড়ে ১৭ ঘণ্টা এবং ওমিক্রন বেঁচে থাকে সাড়ে ২১ ঘণ্টা।

ত্বকে থাকা করোনাভাইরাস অ্যালকোহলনির্ভর স্যানিটাইজারের সংস্পর্শে এলে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে পুরোপুরিভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে এ জন্য অ্যালকোহলনির্ভর পরিষ্কারক ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ