শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন

সচ্ছলতা আনেন সাথী মায়ের দেওয়া উপহার দিয়ে সংসারে

নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী জার্নাল / ১৭৮ বার
আপডেট : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী জার্নাল:সচ্লতা আনেন সাথী মায়ের দেওয়া উপহার দিয়ে সংসারে
সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছিলেন বাবেয়া আক্তার সাথী। বয়স তখন তেরো। ওই বয়সেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে তাকে। আর বয়স যখন সতেরো, তখন তিনি দুই সন্তানের মা। একদিকে অভাব, অন্যদিকে সংসার, মাধ্যমিকের গণ্ডি আর পেরোনো হয়নি।

কিন্তু লক্ষ্য পূরণে ঠিকই এগিয়েছেন সাথী। মায়ের দেওয়া একমাত্র গরুকে অবলম্বন করে শুরু করেন নতুন যাত্রা। আস্তে আস্তে গড়ে তোলেন খামার। তার সেই খামারে এখন ১৪টি গাভি ও ১২টি বাচুর। প্রতি মাসে ঘরে বসে সাথীর আয় এখন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।রাজশাহী নগরীর মথুরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাথী এখন সফল দুগ্ধ খামারি। তার বাবার বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ পবার পারিলা ইউনিয়নের মাড়িয়া দক্ষিণপাড়ায়। সেখানেই গড়ে তুলেছেন ‘সাথী ডেইরি ফার্ম’। সব প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে ১৭ বছর ধরে লেগে থাকার ফল পেয়েছেন অদম্য এই নারী।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বোনের মধ্যে সাথী ছিলেন দ্বিতীয়। ২০০০ সালে তিনি সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। বিয়ের সময় স্বামী মো. সোহাগ ছিলেন বেকার। স্যানেটারি মিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সংসারে অভাব লেগেই ছিল। বছর দুয়েকের মাথায় জন্ম হয় মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের। এদিকে প্রিয় নানতনিকে দুধেল গাভি উপহার হিসেবে দেন সাথীর মা। সেই থেকে শুরু হয়ে আজ তা খামারে রূপ নেয়।রাজশাহী নগরীর মথুরডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা সাথী এখন সফল দুগ্ধ খামারি। তার বাবার বাড়ি নগরীর উপকণ্ঠ পবার পারিলা ইউনিয়নের মাড়িয়া দক্ষিণপাড়ায়। সেখানেই গড়ে তুলেছেন ‘সাথী ডেইরি ফার্ম’। সব প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে ১৭ বছর ধরে লেগে থাকার ফল পেয়েছেন অদম্য এই নারী।

সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে তিনি খামার গড়ে তুলেছেন। যেসব নারী সল্প শিক্ষিত কিংবা সংসার অসচ্ছল, তারা খামার গড়ে ভাগ্য বদলাতে পারেন। লেগে থাকলে সফলতা আসবেই।
উদ্যোক্ত খামারি সাথী

সাথীর মেয়ে সুমাইয়া রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর ছেলে সাব্বির আহমেদ নগরীর আটকোশি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। খামারের আয়ের টাকায় সাথী এখন ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে সংসার সামলাচ্ছেন।

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে খামারেই গিয়ে পাওয়া গেল সাথীকে। খামারে কাজ করছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকেই কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার সঙ্গে। গৃহিণী থেকে কীভাবে পুরোদস্তুর খামারি হয়ে উঠেছেন নরসিংদী জার্নাল, শুনিয়েছেন সেই গল্প।

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাসরিফ/ নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ