সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

সকালে সর্ষে ইলিশ! জন্মদিনের বিকেলে অনাথ শিশুদের বিরিয়ানি খাওয়াবেন দীপঙ্কর-দোলন

প্রতিনিধির নাম / ১২৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
দোলন রায় উদ্‌যাপন করছেন দীপঙ্কর দে-র জন্মদিন। কিন্তু মনে রাখছেন কোন স্মৃতি?
দীপঙ্কর দে-র জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন দোলন রায়।
দীপঙ্কর দে-র জন্মদিন উদ্‌যাপন করছেন দোলন রায়।

যাঁদের কাছে বয়স নিছকই সংখ্যা, তাঁদেরই একজন দীপঙ্কর দে। ৫ জুলাই, জন্মদিনের দিন দীপঙ্কর-দোলন রায়ের রসায়ন আরও এক বার প্রকাশ্যে। স্বামীর জন্মদিন। প্রেমে মাখামাখি একটি বার্তা দোলন সকাল সকাল লিখে পাঠিয়েছেন। সেই বার্তা আরও রঙিন নানা বয়সের, নানা সময়ের ছবির কোলাজে।

টলিউডের ‘টিটো’দাকে তাঁর জীবনসঙ্গিনী লিখেছেন, ‘জীবন মানে অনেক আঁধার একটুখানি আলো, সেই আলোতেই হৃদয় ভরুক মুহূর্ত কাটুক ভাল, বছর বছর ফিরে আসুক তোমার জন্মদিন….!’ প্রসঙ্গত, ৭৮-এ পা দিলেন দীপঙ্কর।

আর কী করছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী? আনন্দবাজার অনলাইন ফোন করতেই গলায় হাল্কা অনুযোগ, ‘‘ছুটি নিয়েছিলাম। শেষ মুহূর্তে ডাক এসেছে। ধারাবাহিক ‘টুম্পা অটোওয়ালি’র দুটো দৃশ্য শ্যুট করে দিয়ে আসতেই হবে!

অগত্যা শ্যুটিং স্পটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। দুপুর ২টোর মধ্যে বাড়ি চলে আসব।’’ জন্মদিনের সকাল একসঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা মাঠে মারা গেল। আগের রাত থেকেই কি তা হলে উল্লাস শুরু? দোলনের দাবি, ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।

এক বাটি তিরামিসু আর একটা বই, কাজের ফাঁকে অলস ছুটি যাপন আলিয়ার
মঙ্গলবার সকাল সকাল উঠে রান্না করেছেন। জলখাবারের মেনু— লুচি আর পায়েস। দুপুরে ভাতের পাতে ‘টিটোদা’র জন্য থাকবে পাঁচ রকম ভাজা, ডাল, তরকারি আর সর্ষে দিয়ে ইলিশ মাছ। রাতের খাবার রেস্তরাঁয়? অভিনেত্রী বলেছেন,

‘‘বিকেলে আমরা বেদান্ত মঠে যাব। আপনাদের দাদা শ্রীরামকৃষ্ণের মন্ত্রে দীক্ষিত। সেখান থেকে অনাথ আশ্রমের শিশুদের বিরিয়ানি খাওয়ানোর ইচ্ছে রয়েছে।’’ প্রতি বছর এই দিনে দোলন উপহারে দীপঙ্করের দু’হাত ভরিয়ে দেন। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

জানালেন, জামা-কাপড়ে আলমারি ঠাসা। তাই দরকারি জিনিস দিয়েছেন। দুই সন্ন্যাসীর জীবনচরিত, দামি কলম, শ্যুটে চা-কফি খাওয়ার মগ, জল ঠান্ডা রাখার বোতল— এই সবই উপহারের রূপ নিয়েছে।

আজকের দিনে দোলনের মনে বিশেষ কোনও স্মৃতি? প্রশ্ন শুনে হাল্কা হাসি। তার পরেই কথায় স্মৃতি ভিড়, ‘‘আমরা প্রথম বারের জন্মদিন কাটিয়েছিলাম নিউ ইয়র্কে। তখন আমাদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ইউনিট থেকে কেক কেটে উদ্‌যাপন হয়েছিল।

তার পর অনেকটা সময় নানা জায়গায় ঘুরে নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়েছিলাম। আজও তাই ৫ জুলাই আমার কাছে মার্কিন মুলুকে রেখে আসা সেই বিশেষ দিন।
সুত্র আনন্দবাজার পত্রিকা

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ