ছবি সংগ্রহীত
শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার টাকা করার দাবি
শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার টাকা করা এবং ঈদের আগে সব শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর
শুক্রবার (১ জুলাই) পল্টন মোড়ে শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।
নুরুল হক নুর বলেন, বিশাল বিশাল উন্নয়ন প্রকল্প। বিশাল বিশাল প্রাসাদের মতো ভবন। এসব তৈরি করতে গিয়ে কত শ্রমিক মারা যাচ্ছে,
তাদের কোনো দিন কোনো খবর কেউ রাখেনি। প্রবাসী শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। অথচ প্রবাসীদের জন্য এই সরকার কোনো উদ্যোগ নেয় না। বরং দেশে আসলে নানা ভোগান্তি ও অবহেলায় পড়তে হয় তাদের।
নুর বলেন, শ্রমিকদের বেতন ভাতার দাবিতে কেন রাস্তায় দাঁড়াতে হবে? স্বাধীনতার আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, এই দেশে শ্রমিকের রাজনীতি হবে। শ্রমিকের অধিকার থাকবে। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও রাষ্ট্রে শ্রমিকের অধিকার রক্ষা হয়নি।
বাঁশখালীতে ৫ জন শ্রমিককে গুলি করে পুলিশ হত্যা করেছিল। কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কারণ শ্রমিকদের জীবনের কোনো মূল্য নেই।
মানববন্ধনে গণ অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান, মশিউরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন ??
বাড়ছে ক”রোনা, এবার আর লকডাউন নয়
দেশে করোনার সংক্রমণ আবারও উর্ধ্বমূখী হওয়ার ফলে বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে বললেও অর্থনীতির বিবেচনায় এবার আর লকডাউন দিবে না সরকার। ইতোমেধ্যে ভাইরাসটির চতুর্থ ঢেউ ছড়িয়ে পড়া শুরু হলেও তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে না প্রশাসন। এমতাবস্থায় জনগণকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক চলাফেরা করতে বলা হয়েছে।
দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে লকডাউনসহ কঠোর বিধিনিষেধের কারণে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সে সময় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। রোগী বাড়লেও এবার ভাইরাসটির যে ধরন ছড়াচ্ছে, সেটি রোগীদের মধ্যে জটিলতা তৈরি করছে না সেভাবে। মৃত্যুর হারও কম।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ১৫ দিন আগেও অনেক কম ছিল, এক শর নিচে ছিল। এখন অনেক বেড়েছে। আমরা লাগাম টেনে ধরতে চাই। এটা শুধু আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এভাবেই কমানো সম্ভব। সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো মাস্ক পরা।’
তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আমরা নির্দেশ দিয়েছি মাস্ক পরার নিশ্চিত করার জন্য। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ একটি চিঠিও দিয়েছে। সেখানে আমাদের সুপারিশ থাকে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে মাস্ক পরানো, শাস্তি দিয়ে বা কোনো পেনাল্টি দিয়ে না। আমরা তাদের আহ্বান করব, কারণ তাদের মঙ্গলের জন্যই তো এ কাজটি করি। তারপরেও যদি সরকার দেখে যে এখানে ব্যত্যয় ঘটছে, তাহলে কোনো পদক্ষেপ নিতেই সরকার দ্বিধা করবে না। কারণ, আমাদের দেশকে তো করোনামুক্ত রাখতে হবে, সব সচল রাখতে হবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও জোর দিচ্ছেন মাস্ক ব্যবহারের ওপর। তিনি বলেন, ‘কোরবানির হাট হোক, মসজিদ হোক, যেকোনো জনসমাগমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেটি মেনে চলতে হবে।’
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সব সরকারি চাকরিজীবীদের এরই মধ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর বৃহস্পতিবার গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এক দিনে ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ হাজার ১৪৯ জন।
সূত্র বিডি২৪লাইভ