রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন

শিশু রেহানের ডান হাতের ওজন দেড় কেজি যা স্বাভাবিকের তুলনাই চারগুন বেশী!

রাব্বি মল্লিক / ১৩৯ বার
আপডেট : শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

গাইবান্ধায় এক শিশুর ডান হাতের ওজন দেড় কেজি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় চারগুন বেশী। এমন অবস্থায় শিশুটি চলাফেরা মানবেতন জীবন যাপন করছেন । ফলে শিশু রেহানের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শিশু রেহানের পাশে দাড়াতে সম্পদ শালীদেরএগিয়ে আসার আহবাস সচেতন মহলবাসীর।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া ইউনিয়নের সুজালপুর গ্রামের আব্দুল হাই ও রেহেনা বেগম দম্পতির প্রথম ছেলে এই রেহাকুল ইসলাম রেহান (৭)। ২০১৫ সালে রেহান জন্মেও পর থেকে ডান হাতের আঙ্গুল গুলো আকারে অনেক বড়।

বাবা মার অনেক স্বপ্ন ছিল ছেলেকে ইসলামিক কালচারে বড় করবেন। তাই স্থানীয় জান্নাতুন নাইম সালাফিয়া ও হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করা। ছেলের বড় হওয়ার পাশাপাশি হাতের আঙ্গুল গুলোও বড় হতে থাকে। শিশু রেহানের বাবা ঢাকায় রিক্সা চালায় আর মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করেন।

স্বল্প আয়ের সংসারে শিশু রেহানের চিকিৎসার চেষ্টা করেও কোন সুফল হয়নি। ফলে দিন যাচ্চে আর শিশু রেহানের হাতের আঙ্গুলও বাড়ছে। এখন শিশু রেহানের ডাল হাতের ওজন এক থেকে দের কেজি । যা স্বাভাবিকের তুলনায় চারগুন বেশী। এতে রেহানের চলাফেরা করতে কষ্ট হয়।

শিশু রেহান জানান,“আমার বন্ধুরা যা করতে পারে আমি সেগুলো করতে পারি না। আমার হাতের ওজন বেড়ে যাওয়ায় আমি স্ববাভিক ভাবে চলাফেরা করতে পারিনা। আমার বাবা-মার টাকা নেই তাই চিকিৎসা করাতে পারেন না। এজন্য আমার ডান হাতের সবগুলো আঙ্গুল আসতে আসতে ফুলে যাচ্ছে। কেউ যদি আমার পাশে দাড়াতো, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতো তাহলে আমি আমার বন্ধুদের মতো চলতে পারবো।”

শিশু রেহানের মা রেহেনা বেগম জানান, “আমি পরের বাড়ীতে কাজ করে খাই। আমার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালায়। অভাবেব সংসারে ছেলে রেহানের চিকিৎসার খরচ চালানো আমাদের পক্ষে অসম্ভব। এখন ছেলে ভবিষ্যত বলে আর কিছু নেই। এখন যদি কেউ আমার ছেলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতো তাহলে আমার ছেলে আশার আলো দেখতো।”

স্থানীয় যুবক আকাশ মিয়া জানান,“আমি রেহানের হাতের অবস্থা দেখে অনেক আশ্চর্য হয়েছি। সমাজের অনেকে আছে, যারা মানবতার সেবায় কাজ করে তারা যদি রেহানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতো তাহলে সে স্বাভারিক জীবনে ফিরতে পারবে।”

স্থানীয় জান্নাতুন নাইম সালাফিয়া ও হাফিজিয়া মাদরাসায় মহতামিম (পরিচালক) আব্দুল বারী জানান, “আমার মাদরাসার ছাত্র রেহান। তার প্রতিভা অনেক ভাল। তার ডান হাতের আঙ্গুলের মাংস বেড়েই চলছে। এভাবে বাড়লে আগামীতে তার চলাফেলা অসম্ভব হতে পারে। সমাজের কোন সহাদয় ব্যক্তি যতি তার পাশে দাড়াতো তাহলে রেহান নতুন জীবন ফিরে পেতো।”

সাঘাটা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মানিক চন্দ্র রায় মুঠো ফোনে বলেন, “প্রতিবন্ধিদের চিকিৎসার জন্য সমাজ সেবাঅধিদপ্তর থেকে প্রাথমিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ আছে। জেলার বাহিরে চিকিৎসা বা চিকিৎসার জন্য অর্থিক কোন সহযোগীতার সুযোগ নেই।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ