ধর্ম ডেস্ক ।। ‘শ’রিকদের’ মধ্যে কোরবানির গো’শত ব’ণ্টনের নিয়ম
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান নারী পুরুষের ওপর কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব।
কোরআনে আল্লাহ তাআলা কোরবানি করার নির্দেশ দিয়ে বলেন—‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি খুশি মনে সওয়াবের আশায় কোরবানি করবে, ওই কোরবানির জবেহকৃত পশু কোরবানিদাতার জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হবে।’ (আল মুজামুল কাবির: ২৬৭০)
এমন মহান ইবাদতের ফজিলত পুরোপুরি পেতে হলে প্রত্যেকটি বিষয়ে সুন্নত পালনের বিকল্প নেই। শরিকে কোরবানি করলে প্রত্যেক শরিকদারকে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। গোশত বণ্টনের ক্ষেত্রেও এদিক-সেদিক বা কম-বেশি করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাসয়ালা হচ্ছে—
‘শরিকে কোরবানি করলে ওজন করে গোশত বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়। (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৭; কাজিখান: ৩/৩৫১)
প্রসঙ্গত, কোরবানির গোশতের এক তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম।
অবশ্য পুরো গোশত যদি নিজে রেখে দেয় তাতেও কোনো অসুবিধা নেই। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২২৪, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩০০)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানি সংক্রান্ত সকল মাসায়েল জানার বুঝার এবং সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী কোরবানি সম্পন্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল