বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০২:০৮ অপরাহ্ন

যে কারণে খোলা আকাশের নিচে শত শত মুসল্লির নামাজ আদায়

প্রতিনিধির নাম / ২০২ বার
আপডেট : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
নীলফামারীতে বৃষ্টির জন্য খোলা আকাশের নিচে শত শত মুসল্লি দুই রাকাত এস্তেসকার নামাজ আদায় করে বিশেষ মোনাজাত করেছেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলা সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউপির কানিয়ালখাতা মদিনাতুল উলুম কিন্ডারগার্টেন মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়।

নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর কাছে রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এতে ইমামতি ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মার্কাস মসজিদের খতিব মাওলানা সাদিক শাহেদ।

জানা গেছে, আষাঢ়ের বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহেও মেলেনি বৃষ্টির দেখা। ভরা বর্ষা মৌসুমেও দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টির দেখা মিলছে না।

এ দিকে খাল-বিলের পানি না থাকায় পাট জাগাতে পারছেন না কৃষকরা। সময়মতো আমন ধান লাগাতে না পারায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমন ধান চাষিরাও। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে ক্ষেতে আগাছা, রোগ ও পোকার আক্রমণ বেড়ে যাবে।

এতে ধানের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খরা ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে সকালে এ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। নামাজ শেষে অব্যাহত অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য ও আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মাওলানা সাদিক শাহেদ বলেন, প্রচণ্ড খরায় মাঠের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। প্রাণিকুলসহ মানবজাতির এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এ নামাজ আদায় করা হয়েছে। এতে শত শত মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাজকে এস্তেসকার নামাজ বলে। আল্লাহর কাছে সবাই দুই হাত তুলে মোনাজাত করেছি। আল্লাহ যেন কবুল করেন।

সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েত আলী শাহ ফকির বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহ চললেও বৃষ্টির দেখা নেই। এই সময়টাতে ধান রোপণ শেষ হয় এই অঞ্চলে। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির অভাবে জমি চাষ বা প্রস্তুত করতে পারেনি মানুষ।

খরায় মাঠের অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এখানকার জনজীবন। প্রাণিকুলসহ মানবজাতি এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ নামাজ আদায় করেন।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ