যেসব কারণে ছাড় পেতে পারেন বাইকাররা
ঈদের আগে ও পরে সাত দিন এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না, পাশাপাশি রাইট শেয়ারিং বন্ধ থাকবে — সরকার এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসনে এ নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ, সবার মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
সর্বশেষ বুধবার পুলিশের দুই দিনব্যাপী ত্রৈ-মাসিক এক অপরাধ সভায় এ নিয়ে বিস্তর কথা হয়েছে। সেখানে কর্মকর্তারা বাইকাররা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে তাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া যেতে পারি বলেও অনেকে মতামত তুলে ধরেন।
এই সভায় বিশেষ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও সারা দেশের পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।তারা সভায় বলেন, ঈদের আগেও পরে সাত দিন যাত্রা পথে কোন বাইকার তার যাত্রার সঠিক ও যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে অবশ্যই তাকে ছাড়া হবে।
এই যৌক্তিক কারণগুলোর মধ্যে কোন ব্যক্তি বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকিট পাননি অথবা ঢাকা শহরে তার কোন পরিবার পরিজন নেই তাই তিনি গ্রামে ছুটছেন। বিষয়টি এমন হলে তাকে ছাড় দেয়া হতে পারে।
এছাড়াও তারা অভিমত দেন, ঢাকার ৮ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো। এসব চেকপোষ্টে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি হলে তা ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। তবে এই সাতদিন গণমাধ্যম কর্মীরা দায়িত্ব পালনকালে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হবেন না, যদি তারাও যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ( ট্রাফিক) মনিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, যেহেতু সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা বিষয়টি বাস্তবায়নের কাজ করছি। কোন বাইকার যদি যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেন অবশ্যই তাকে ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার অনুমতি দেয়া হবে।
এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল কি ধরনের কারণ দেখিয়ে একজন ব্যক্তি যৌক্তিক অবস্থান গ্রহণ করতে পারেন। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে নির্দিষ্ট করে কোন কারণকে যৌক্তিক বলা কঠিন। তবে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনকালে কোন ধরনের বাধার সম্মুখীন হবেন না।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোটরসাইকেল ৭ দিন নিষিদ্ধের বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনে অনেক কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
বুধবারের সভায় পুলিশের অনেক উদ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, একজন ব্যক্তির মোটর মোটরসাইকেল চালানোর আইনত অধিকার রয়েছে। সেই বিষয়টিতে বাধা দেয়ার এখতিয়ার পুলিশের নেই।
যেহেতু সরকার নির্দেশনা দিয়েছে এ কারণে তারা তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করবেন। তারা আরও মনে করছেন, বিষয়টি নিয়ে কঠোর ভাবে কাজ করলে বাইকারদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি হবে।
অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলাও হতে পারে।সভায় ডিএমপি কমিশনার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। এছাড়াও সভায় বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা তাদের মতামত তুলে ধরেন।
ডিএমপির একটি সূত্র জানায়, ঢাকার ৮ পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানো হবে। পাশাপাশি বসবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এজন্য তারা বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের কাছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল