ছবি সংগ্রহীত
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। এর আগে, শহরের বেজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে তিনি দুর্বৃত্তদের আক্রমনের শিকার হন। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাড়ির সামনের একটি ফার্মেসিতে এসে বসেন বদিউজ্জামান (ধোনি)। এ সময় একদল দুর্র্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা ধোনিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে এরইমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের একাধিক টিম
আরও পড়ুন ??
সারা দেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১৬
সারা দেশে চলমান বন্যায় মৃতে সংখ্যা বেড়ে ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ১৭ মে থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ সংখ্যক মানুষ বন্যার কারণে মারা গেছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।
আজ মঙ্গলবার সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ১২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০ জন, সিলেট বিভাগে ৬৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জনসহ মোট ১১৬ জনের মৃত্যু হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ১৬ হাজার ৪০৭ জন আক্রান্ত থাকলেও মঙ্গলবার তা বেড়ে ১৬ হাজার ৯৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৪৭ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৪ জন। এ ক্ষেত্রে কারও মৃত্যু হয়নি।
একই সময়ে বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।
জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে এ জেলায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। হবিগঞ্জ জেলায় ছয়জন ও মৌলভীবাজারে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। নেত্রকোনায় ১৮ জন ও জামালপুরে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ময়মনসিংহে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শেরপুরে মারা গেছেন সাতজন, কুড়িগ্রাম পাঁচজন ও লালমনিরহাটে সাতজন, টাঙ্গাইলে একজন মারা গেছেন
সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বর