বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১১ অপরাহ্ন

মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা দেবে না পুলিশ যৌক্তিক কারণ দেখালে

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৬৩ বার
আপডেট : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক || মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা দেবে না পুলিশ যৌক্তিক কারণ দেখালে ।

মোটরসাইকেল আরোহীরা যদি যোক্তিক কারণ দেখাতে পারে তাহলে তাদের বাইক চলাচলে বাধা দিবে না পুলিশ। মোটরবাইক চালিয়ে তারা তাদের পরিবার নিয়ে বাড়ী ফিরতে পারবেন। আজ বুধবার (৬ জুলাই) পুলিশের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মোটরসাইকেল চলাচলের বিধি নিষেধের বিষয় নিয়ে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এ কথা বলেন।

এদিকে বিআরটিএ মোটরসাইকেলে চলাচলে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তা জনরোষ তৈরি করবে বলে মনে করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত নয় বলেও মনে করছে তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপের পর মানুষের মধ্যে বাজে বার্তা যাচ্ছে। বিআরটি এর এ সিদ্ধান্তে জনরোষ তৈরি হবে। শতশত মানুষ ঈদের সময় মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যায়। পুলিশ কীভাবে তাদের ঠেকাবে। এটি বাস্তব সম্মত নয়।

আমরা বিআরটিএকে জানিয়েছি, এ কাজ পুলিশের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলে পুলিশ সেখানে সহায়তা করবে। বাড়ি যাওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে পুলিশ মোটরসাইকেল চালকদের ছেড়ে দেবে।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মোটরসাইকেল চালকদের সতর্ক অবলম্বন করে গাড়ি চালানো উচিত। ঢাকার আশেপাশের জেলায় ১ থেকে ২ ঘণ্টার দূরত্বের পথ বাইক নিয়েই পাড়ী দিতে পারে, কিন্তু মোটরসাইকেল নিয়ে রংপুর পর্যন্ত চলে যাওয়া ঠিক নয়।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানান, সড়কে মোটরসাইকেল বিধিনিষেধ আরোপের বৈঠকে পুলিশের প্রতিনিধিও ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বুধবার ডিএমপি কমিশনার ও হাইওয়ে পুলিশ প্রধানের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি সরকারি আদেশ। এটি পালনের দায়িত্ব পুলিশের। আর আমাদের পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত নেই।

এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ঈদের সময় প্রতিটি মোটরসাইকেল আটকে তার বাড়ি যাওয়ার কারণ জানা যৌক্তিক নয়। ১ থেকে ২ মিনিট রাস্তা বন্ধ থাকলে দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়। বৃহস্পিতবার থেকে ঢাকায় অন্তত ৮টি চেকপোস্টে পুলিশ থাকবে। সেখানে থাকবে ট্রাফিক পুলিশও।

এদিকে ঈদের সাতদিন মহাসড়কে এই বিধি নিষেধ কিভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটা এখনো স্পষ্ট হয়নি। সেইসাথে যৌক্তিক প্রয়োজনে বাইক নিয়ে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার অনুমতি হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে কীভাবে মিলবে তাও পরিষ্কার নয়। বিআরটিএর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে নিবন্ধিত ৫৩ লাখ ৫ হাজার ৯৩৬টি যানবাহনের মধ্যে ৩৭ লাখ ৫৩ হাজার ২১৮টি মোটরসাইকেল।

মোট যানবাহনের ৭১ শতাংশই মোটরসাইকেল। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ২ লাখ ৯২ হাজার ২৮টি নতুন যানবাহন নিবন্ধন পেয়েছে। যার ২ লাখ ৫২ হাজার ২৩৩টি বা ৮৭ শতাংশই মোটরসাইকেল। রাজধানীতে নিবন্ধিত ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৮৭৪টি যানবাহনের অর্ধেকেরও বেশি ৯ লাখ ৬ হাজার ২২১টি মোটরসাইকেল।

প্রসঙ্গত, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে চলতি বছরে সড়কে যত মানুষের মৃ’ত্যু হয়েছে, তার ৪২ শতাংশ মা’রা গেছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। গত জুনে ২০৪ জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ ঘটেছে মোটরসাইকেলের কারণে। আর দু’র্ঘটনায় হ’তাহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই ১৮ থেকে ৩০ বছরের তরুণ।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আশিকুল/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ