শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০১:০২ অপরাহ্ন

মিরাজের যে আচরণে কষ্ট পেলেন পাপন

রাব্বি মল্লিক / ১৫০ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টাইগারদের জয়কে ‘অবিশ্বাস্য’ ও ‘প্রায় অসম্ভব’ বলে জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেই সাথে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের নির্ভীক ক্রিকেটে মুগ্ধ বিসিবি সভাপতি।

পাপন বলেন, ‘সত্যি বলতে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। আমরা বলছিলাম- ৫০ ওভার খেলতে পারলে জিতব। আমি বারবার বলছিলাম, এই দুইজন যদি খেলে যেতে পারে তাহলে আমাদের জেতার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটাও প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল।’

ম্যাচ শেষে আফিফ-মিরাজকে প্রশংসায় ভাসানোর পর মনের কষ্টটাও জানিয়ে দেন পাপন। ২০১৯ সালে হুট করেই বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটাররা। আন্দোলনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ৯ দফা দাবি মেনে নিলেও পূরণ হয়নি বাকি দুই দফা।

সমস্যা নিরসনে সে সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিজ থেকে ফোন দিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সিনিয়রদের পাশপাশি তিনি ফোন দিয়েছিলেন জুনিয়র ক্রিকেটারদেরও। তাদের ভেতর অন্যতম ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

সবার সঙ্গে কথা হলেও কোনো এক কারণে তখন ফোন ধরেননি মিরাজ। আর মিরাজের সেই আচরণে বেশ কষ্ট পেয়েছিলেন বিসিবি প্রধান।

আন্দোলনের পর কেটে গেছে আরও দুটি বছর। কিন্তু এখনও সেই কষ্ট মনে পুষে রেখেছেন বোর্ড সভাপতি। ২০২২ সালে এসেও সেটি অকপটেই স্বীকার করলেন তিনি।

বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান বোর্ড সভাপতি।পাপন বলেন, ‘আসলে প্লেয়ারদের সঙ্গে আমার আলাদা একটা রিলেশনশিপ আছে। এটা সিনিয়র প্লেয়ারদের সঙ্গেও আছে। জুনিয়র কিছু প্লেয়ার যেমন তাসকিন, মিরাজ এবং মুস্তাফিজ এই তিনজনের সাথে আরেকটু বেশি আছে। মিরাজ যখন ফোন ধরেনি তখন শুধু কষ্ট পেয়েছিলাম।’

ফোন না ধরায় সে সময় মিরাজের ওপর বেশ চটেছিলেন পাপন। সে সময় গুঞ্জন উঠেছিল নিজের মোবাইল থেকে মিরাজের নম্বরও ডিলিট করে দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ