জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ || মামিকে হ’ত্যা পরকীয়ার জেরে : ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চার্জশিট জমা।
কিশোরগঞ্জে পরকীয়ার জেরে মামিকে গলা কে’টে হ’ত্যার অভিযোগে গ্রে’প্তার মামুনের বি’রুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। হ’ত্যা মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার (২৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মা’মলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপস) মো. তরিকুল ইসলাম।
আজ রাত সাড়ে ৯টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০০৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের হারুয়া এলাকার তাইজুল (৪৫) সঙ্গে বিয়ে হয় রোকসানার (৩৫)। বিয়ের পর থেকেই তাইজুলের ভাগনে মামুনের সঙ্গে রোকসানার অবৈধ সম্পর্ক গঠে ওঠে। শুরু হয় তাইজুল-রোকসানার পারিবারিক কলহ। দীর্ঘ ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে জন্ম নেয় দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
ভাগনে মামুন ও মামী রোকসানার অ’বৈধ সম্পর্কের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবার মামুনকে বিয়ে করিয়ে দেয়। মামুনের ঘরেও জন্ম নেয় এক সন্তান। তারপরও মামুন ও রোকসানার অ’বৈধ সম্পর্ক হয়নি। একপর্যায়ে মামুনের স্ত্রী চলে যায়। অন্যদিকে মামুন ও রোকসানার সম্পর্কেও অবনতি ঘটে।
এ অ’বৈধ সম্পর্ক শেষ করতে চাইলেও রোকসানার কারণে মামুন তা পারেনি। একসময় মামুন তাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে তাইজুলের স্ত্রী (রোকসানা) রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় ভাগনে মামুন ঘরে প্রবেশ করে রোকসানার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে মামুন প্রথমে ক্রিকেট খেলার ব্যাট দিয়ে তাকে আ’ঘাত করেন। পরে ধা’রালো ছু’রি দিয়ে রোকসানাকে জ’বাই করে হ’ত্যা করেন।
ঘা’তক মামুনকে রোববার (২৪ জুলাই) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিনের আদালতে তোলা হয়। এসময় তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মামুন বলেন, এ অ’বৈধ সম্পর্ক শেষ করতে চেয়েছি। কিন্তু রোকসানার জন্য তা হয়নি। এছাড়াও মামার (তাইজুল) সঙ্গেও রোকসানা অনেক খারাপ ব্যবহার করতেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক পাপ করেছি। রোকসানাকে হ’ত্যা করে সেই পাপ শেষ করলাম।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামুন (৩০) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ জানান, রোববার রাতেই নিহতের স্বামী তাইজুল বাদী হয়ে একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলা রুজু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামুনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামুন হ’ত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আশিকুল/নরসিংদী জার্নাল