ছবি সংগ্রহীত
মাঠ ও নজরদারির অভাবে খেলাধুলার পরিবর্তে মাদক ও অপরাধে জড়াচ্ছে উঠতি বয়সীরা। রাজধানীর অনেক মাঠেই বসছে মাদকসেবীর আড্ডা। আবার সংস্কারের নামে বন্ধ থাকা কোনো কোনো মাঠে রীতিমতো গাঁজার গাছ গঁজিয়েছে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতই বলে দেয় পরিস্থিতির ভয়াবহতা।
সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে গত বছর খুন হয় কদমতলীর কিশোর আরাফাত। ওই ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। যারা প্রত্যেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় খেলার মাঠের সংকট রয়েছে। উঠতি বয়সীরা জড়াচ্ছে অপরাধে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের লালমাটিয়া কলোনি মাঠে খেলাধুলার পরিবর্তে চলে মাদকের আড্ডা। ক্যামেরা দেখেই সটকে পড়ে বখাটেরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার কিছু মাদকাসক্ত কিশোর-যুবক রয়েছে। তাদের জন্য বাচ্চারা সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না।
লালমাটিয়া ডি-ব্লক মাঠ, সংস্কার শেষে তালাবদ্ধ মাঠটিতে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। ঘিরে রাখা এই মাঠে রীতিমতো গাঁজার গাছ গঁজিয়েছে।
সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে থাকা মাঠে কী করে নিষিদ্ধ গাছ গঁজিয়েছে তার সদুত্তোর নেই কারও কাছে।
স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, উদ্বোধন হলেও মাঠের দায়িত্ব বুঝে পাননি তারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলাম রাস্টন বলেন, একটি মাঠ শুধু উদ্বোধন করা হয় নাই।
সেটা হলো লালমাটিয়া ডি-ব্লকের মাঠ। যেটার কাজ এখনও চলছে। এ ছাড়া শ্যামলী পার্ক মাঠ, হুমায়ূন রোড খেলার মাঠ, ইকবাল রোডের দুটি মাঠ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলো আমরা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
নজরদারির অভাবকেই মাঠের বেহাল পরিবেশের জন্য দায়ী করেন, নগরবিদ ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, নিরাপদ ও ব্যবহার উপযোগী মাঠ নেই বলেই বাচ্চারা মাদক-মোবাইল অথবা কম্পিউটারে আসক্ত হচ্ছে। যে গণপরিসর ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা থাকে,
তা সংকুচিত হয়ে গেছে। আর এ জন্যই আজকের এই পরিবর্তন। অতএব শিশুদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। আমরা শিশুদের জন্য সেই ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত রাখতে পারিনি। নিরাপত্তা দিতে পারিনি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারিনি।
পরিবেশ ঠিক রাখতে নজরদারির আশ্বাস দেন উত্তরের মেয়র।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে মাঠগুলো উদ্বোধন করেছি, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য থার্ড পার্টিকে দিয়ে দেব।
কিন্তু থার্ড পার্টিকে না দেওয়া পর্যন্ত কিছু কিছু বাথরুম বন্ধ থাকবে। তবে মাঠ খোলা থাকবে।
কিশোরদের কাঠগড়ায় দাঁড় না করিয়ে কর্তৃপক্ষকে যথাযথভাবে মাঠ তত্ত্বাবধানের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
সূত্র আর টিভি