আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। মা’ঝ আকাশে বিমানে ত্রু’টি, অ’ল্পের জন্য রক্ষা ২২৯ আ’রোহীর
মাঝ আকাশে হঠাৎ করে বিপত্তি দেখা দেয়া এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে। তখন তাতে ২২৯ জন আরোহী ছিলেন। অবশেষে জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন ক্রুরা। ভারতের কোচি বিমানবন্দরে নামানো হয় বিমানটিকে। অল্পের জন্য রক্ষা পান সবাই।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ভারতের কোচিতে আসছিল বিমানটি। মাঝ আকাশে থাকতেই তাতে হাইড্রোলিক সমস্যা দেখা দেয়। এসময় ফ্লাইটে ২২২ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু ছিলেন।
খবরে বলা হয়েছে, বিমানটি সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু, হাইড্রোলিক ব্যর্থতার খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা ৪১ মিনিট নাগাদ কোচি বিমানবন্দরে সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
প্রায় ৫০ মিনিট উৎকণ্ঠার পর এয়ার আরাবিয়া জি৯-৪২৬ বিমানটি সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৯ নম্বর রানওয়েতে নিরাপদে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের মুখপাত্র জানান, ‘কোচি বিমানবন্দরে ১৮:৪১ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। সমস্ত যাত্রী নিরাপদে আছেন। কোনো সমস্যার খবর পাওয়া যায়নি।’
বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার প্রায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিমানটি অবতরণের পর, ৮টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ সেটিকে রানওয়ে থেকে পার্কিং এলাকায় টো-ট্রাকের মাধ্যমে নিয়ে আসা হয়।
সামনের চাকাটি মাটি থেকে তুলে সেটিকে টেনে নিয়ে আসা হয়। জরুরি অবস্থার সময় বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ রাখা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার পর বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়।
কোচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস সুহাস বলেছেন, ‘একটি সমন্বিত এবং সময়োপযোগী প্রচেষ্টা, কোচিন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডকে বিমানবন্দরের জরুরী পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে সাহায্য করেছে।
এই ধরনের পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় পরে ঘটল। তবে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকরভাবে কাজ করেছে। আমরা মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ফের কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছি। এ সময় দুটি ফ্লাইটকে অন্য বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।’
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল