গভীর রাতে প্রাইভেট কার আটকে পুলিশ দেখতে পেল আরোহীর আসনে বসা অভিনেত্রী, মডেল অর্চিতা স্পর্শিয়া। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ্য।পুলিশ বলছে গাড়িটি চলছিল ‘বিপজ্জনকভাবে’। বিচ্যুতি ছিল আরও। প্রাঙ্গন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। তিনি মদ পান করে চালকের আসনে ছিলেন। যদিও এর লাইসেন্স ছিল তার।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বনানী থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার সময় ধানমন্ডি ৮/এ সড়কে গাড়িটি আটকে প্রাঙ্গন ও স্পর্শিয়াকে নেয়া হয় থানায়। তবে সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে হয়নি তাদেরকে। মুচলেকা দিয়েই পার পান।
মুচলেকাপত্রে লেখা, ‘আমি প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘ্য, আমার ব্যক্তিগত গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসার পথে ধানমন্ডির ইউনিমার্ট শপিং সেন্টারের সামনে কর্তব্যরত পুলিশের টহল গাড়ি চ্যালেঞ্জ করে,
আমি তৎক্ষণাৎ গাড়িটা থামিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলা কালে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যাই এবং পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি।
‘পুলিশ আমাকে মদ্যপ অবস্থা কি না জানতে চাইলে আমি জানাই যে আমি অল্প মদ পান করেছি এবং আমার ম দ পান করার লাইসেন্স আছে।
পুলিশ লাইসেন্স প্রদর্শন করতে বললে আমি তৎক্ষণাৎ লাইসেন্স প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হওয়ায় অতিরিক্ত গতিতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হওয়ায় থানার ঊর্ধ্বতন অফিসার আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলে আমাকে থানায় যেতে বললে আমি আমার গাড়িসহ থানায় এসে হাজির হই এবং এই মর্মে মুচলেকা প্রদান করি যে ভবিষ্যতে এমন কার্যকলাপ আর করব না।’
যদিও মুচলেকা পত্রে কোথাও অবশ্য স্পর্শিয়ার নাম নেই। এবিষয়ে স্পর্শিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মদ্যপ ছিলাম না, আর এটা যদি আমার রক্ত পরীক্ষা করেও প্রমাণ করতে হয়, তাতেও আমি রাজি।’
স্পর্শিয়ার দাবি, শুধু তিনি নন, তার বন্ধুও মদ্যপ ছিলেন না। আর তাদের গাড়ির গতি একেবারেই বেপরোয়া ছিল না। স্পর্শিয়ার ভাষ্যে, ‘গতি ছিল ৫০ এ।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমরা যখন ধানমন্ডির ৮/এ তে টার্ন করছি, তখন পুলিশ আমাদের আটকায় এবং বলে, যেভাবে টার্ন করা হয়েছে তাতে নাকি পাশের সিনজি পরিবহনের সঙ্গে লেগে যেতে পারত।’
এরপর অর্ঘ্যের সঙ্গে কথা শুরু করে পুলিশ। অনেক্ষণ কথা বলেও পুলিশ যখন তাদের ছাড়ছে না তখন স্পর্শিয়া নিজেই গাড়ির চাবি খুলে পুলিশ সদস্যকে দিয়ে গাড়িসহ তাদের দুজনকে থানায় নিয়ে যেতে বলেন।
কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাদের থানায় নিয়ে না যেতে চাইলে তারা গাড়ির পেছনের অংশ খুলে সেখানেই বসে পরেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন।
এক পর্যায়ে স্পর্শিয়া ও অর্ঘ্য থানায় যান। স্পর্শিয়া বলেন, ‘থানায় যাবার পর আমাকে তারা চলে যেতে বলেন, কিন্তু আমার বন্ধু অর্ঘ্য যেহেতু তখন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অন্য কক্ষে ছিল, তাই আমি চলে যাইনি। তারা অন্য কক্ষে বসে কথা বলে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়েছে।’
মদ্যপও ছিলেন না আবার গাড়ির গতিও বেশি ছিল না, তারপরও কেন মুচলেকা দিলেন? এই প্রশ্নে স্পর্শিয়া বলেন, ‘এটা আমি পরিষ্কার জানি না। কারণ সেই সময় আমি অর্ঘ্যের সঙ্গে ছিলাম না। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই।’
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ খবর মিডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। রাব্বি মল্লিক/এনজে