ভৈরবে বাবার ছুরিকাঘাতে অনাগত সন্তানের মৃ,ত্যু : স্বামী গ্রেফতার কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বামী জাহিদ হাসানের (২১) ছুরিকাঘাতে স্ত্রী মিতু বেগমের (১৯) গর্ভে থাকা অনাগত সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় ঘটনাটি ঘটলে গুরুতর আহত মিতু বেগমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। ঢাকার হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তাররা ২২ জুলাই শুক্রবার দুপুরে তাকে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশন করেন। এ সময় ডাক্তার জানান তার গর্ভে থাকা সাত মাসের সন্তান পেটের ভিতর মারা গেছে। পরে মৃত সন্তানকে ডেলিভারী করানো হয়। শহরের ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ঘটনাটি ঘটে। উপজেলার সম্ভুপুর গ্রামের মৃ,ত নুরুল ইসলামের ছেলে জাহিদ হাসান। তারা ভৈরব পুর দক্ষিণ পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মিতু বেগমের মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ স্বামী জাহিদকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার সকালে জাহিদকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরন করে। মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে দুজনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরই মধ্য মিতু বেগম সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী প্রায়ই নেশা করে তাকে মারধোর করত। অনেক সময় নেশা টাকা পেতে স্ত্রীর উপর শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। বৃহস্পতিবার রাতে নেশার টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেয়। টাকা না দিলে সে তার স্ত্রীকে পেটের মধ্য ছুরিকাঘাত করলে মিতু বেগম গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা গুরুতর দেখে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। মিতু বেগমের বোন ঝমুর বেগম জানান, ‘আমার ভগ্নিপতির ছুরিকাঘাতে তার গর্ভের সন্তানের মৃ,ত্যু হয় বলে ডাক্তারগন জানিয়েছেন। তবে অপারেশন হলেও মিতুর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে তিনি জানান।’ ভৈরব পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শ্যামল মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষনাত তাদের বাসায় গিয়ে স্বামী জাহিদ হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় মিতুর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করে। মামলাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।