বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

ভু’য়া ডাক্তার পরিচয়ে হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধ’র্ষ’ণচেষ্টা!

প্রতিনিধির নাম / ৮৭ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। ভু’য়া ডাক্তার পরিচয়ে হাসপাতালের কেবিনে ঢুকে রোগীকে ধ’র্ষ’ণচেষ্টা!

নোয়াখালী জেলা চাটখিল উপজেলার  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সেজে ভর্তি থাকা এক নারী (২৪) রোগীকে ধ’র্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মঞ্জুরুল হায়দার জনি (৩৫) নামের একজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

এদিকে অপরাধী চক্রের সঙ্গে হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ কর্মচারীদের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ ও করেছেন।

অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ।ডা. খন্দকার মোশতাক আহমেদ বলেন, অভিযোগের তদন্তে হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. তানজিনা হককে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন, ডা. ইকরাম বিন ফারুক ও নার্সিং সুপারভাইজার আয়েশা আক্তার। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই নারী রোগী বলেন, প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে আমি চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হই। হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের দুর্ব্যবহার নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করি। এরপর বুধবার (২০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় মঞ্জুরুল হায়দার জনি নামের একজন চিকিৎসক সেজে আমার কেবিনে আসেন।

তিনি আমার শরীর ঘামাচ্ছে দেখে কেবিনে থাকা আমার ভাই ও বোনকে জামা (গেঞ্জি) কেনার জন্য বাইরে পাঠিয়ে দেন। পরে তিনি আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে হেনস্তা করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। এতে আমি চিৎকার দিতে চাইলে তিনি গলাটিপে হত্যা করতে উদ্যত হন।

এ সময় ওই ব্যক্তি মা’দকাসক্ত ছিলেন বলে ধারণা ভুক্তভোগী ওই নারীর।ভুক্তভোগি নারীর বোন বলেন, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর পর বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা চলছে। আমরা বিষয়টি স্থানীয় সদস্য সদস্য এইচএম ইব্রাহীমকেও জানিয়েছি। তিনি আমাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত মঞ্জুরুল হায়দার জনি চাটখিলে বসবাসকারী মৃত শাহাদাত উল্যাহর ছেলে এবং ওই হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা (সেকমো) মনিরুল হায়দার মনিরের ভাই।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. শহীদুল আহমেদ নয়ন বলেন, এ বিষয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ