মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭ অপরাহ্ন

বিদ্যুতের বড় অংশ গিলে খাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা (ভিডিও)

প্রতিনিধির নাম / ২৫১ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
দেশের বিদ্যুতের বড় একটি অংশ গিলে খাচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। দীর্ঘদিন ধরে এই রিকশা বন্ধের কথা বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। চালকদের দাবি, এলাকার প্রভাবশালীদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে কাঙ্ক্ষিত কার্ড পেলেই চালানো যায় এ যান। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, ওপর মহলের কিছু কর্মকর্তার কারণে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের ক্যানসাররূপী এই রিকশা বন্ধই একমাত্র সমাধান নয়।
সারাদেশে শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা আছে ৪ থেকে ৫ লাখ। ঢাকায় আছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটিতেই রয়েছে ৭৫ ভাগ।

পরিসংখ্যান বলছে, একটি রিকশা প্রতিদিন চার্জ বাবদ খরচ করছে পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ; যা মাসে দাঁড়ায় ১৫০ ইউনিটে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে এক মাস চলতে পারত একটি ছোট পরিবার।

দেশে বিদ্যুতের এই ঘাটতির দিনেও এসব যান নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই কারোরই। রাজধানী মুগদার মান্ডা এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী আলাউদ্দিনকে এক হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা দিলেই চালোনো যায় অবৈধ এই যানটি।

এই জনপ্রতিনিধি বলছেন, অপশক্তির বাধার মুখে বার বার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি ব্যাটারিচালিত রিকশা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল আলম শামীম বলেন, আমরা বার বার এটা বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কিছু নিয়ে আমরা ব্যর্থ হই। কিছু কর্মকর্তা এগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। অবৈধ এই রিকশা উচ্ছেদের জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিজিটালাইজেশনের যুগে কোনো সুবিধা বাদ না দিয়ে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান খান বলেন, বিদ্যুতের খরচ শুধু রিকশায় হচ্ছে না। এই রিকশাগুলো কিন্তু চার্জারের মাধ্যমে চার্জ হচ্ছে।

চার্জারের ইফিসিয়েন্সি একটা বিশাল ব্যাপার। এটার ডিজাইন ঠিক করে উচিত। এখন এটা মেইনস্ট্রিমে চলে আসছে। এখন এটাকে নিষিদ্ধ করার কোনো উপায় দেখি না। এটার গ্রহণযোগ্যতা সমাজে এত বেশি হয়ে গেছে, কাজেই এটাকে সহজে নিষিদ্ধ করা যাবে না এর বিকল্প ব্যবস্থা না করে।

শুধু বিদ্যুতই না, দুর্ঘটনা বৃদ্ধি ও যানজট তৈরি করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। তাই দ্রুত এসব যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি সচেতন মহলের

আরও পড়ুন
ঠাকুরগাঁওয়ে নদী থেকে বস্তাবন্দি মাদ্রাসাছাত্রী উদ্ধার
ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা খোঁজাখুঁজি করে’ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদী থেকে মাহফুজা খাতুন (১৪) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল ৭টা ২০ মিনিটে পৌর শহরের টাঙ্গন নদী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাহফুজা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মৃত মোস্তফা কামালের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের খাতুনে জান্নাত কামরুন্নেছা কওমি মহিলা মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করতো।

খালপাড়ার বাসিন্দা জয় মহন্ত অলক বলেন, “নদীতে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখে আমাকে একজন কল করে জানান। প্রথম দেখায় মনে করেছিলাম মারা গেছে। পরে একটু কাছে গিয়ে দেখি বস্তাটি নড়ে উঠলো। তাৎক্ষণিক স্থানীয়দের বস্তাটি খুলতে বললাম। এরপর দেখা গেলো বেঁচে আছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।”

কিশোরীর বড় বোন বলেন, “আমার বোন টাঙ্গন নদীর পাশে এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। ঘটনা কী ঘটেছে জানি না। আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে আসছি।”
ওই মাদ্রাসার মুহতামিম হজরত আলী বলেন, “স্বাভাবিক সময়ের মতো রাত ১১টায় সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে সহপাঠীরা খোঁজাখুঁজি করে। তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। এরপর পাশেই টাঙ্গন নদীতে বস্তাবন্দি অবস্থায় তাকে পাওয়া গেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “মাহফুজা শহরের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করে। মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩টার দিকে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে বের করে নিয়ে আসে। পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তাবন্দি করে টাঙ্গন নদীতে ফেলে রাখে। সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ