বাবা মো. নুরুল ইসলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং তার ছেলে মো. শাহীন মিয়া একই উপজেলার ৩নং দলপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে মো. শাহীন মিয়ার এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছেলের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং একাধারে তিনি একজন কবি, নাট্যকার, গীতিকার, লোকসাহিত্য গবেষক, সংগ্রাহক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
আর ইউপি চেয়ারম্যান ছেলে শাহীন মিয়া এলাকায় একজন সাদামাটা, বন্ধুবৎসল, পরোপকারী ও সাধারণ মানুষের সেবায় নিবেদিত ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত। তিনি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে দলপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে বিজয়ী হন।
এদিকে বাবা ২০১৯ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেন্দুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এবার ছেলে শাহীন মিয়াও দলপা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় তাদের প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়ে গেছে। বিশেষ করে দলপা ইউনিয়নবাসী খুবই খুশি। তাদের প্রত্যাশা যেহেতু বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ছেলেও ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাই দলপা ইউনিয়নে উন্নয়ন কার্যক্রমও বেশি হবে এবং ইউনিয়নটির সাধারণ মানুষ সরকারি সব ধরনের সেবা পাবে।
দলপা ইউনিয়নের ইটাউতা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, আমাদের ইউনিয়নের মানুষ খুবই ভাগ্যবান। আমরা একই ইউনিয়নে বাবা-ছেলে দুজন চেয়ারম্যান পেয়েছি। তাই তাদের প্রতি আমাদের চাওয়া এবং প্রত্যাশাও বেশি।
সদ্য শপথ গ্রহণকারী দলপা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহীন মিয়া বলেন, ইউনিয়নবাসী নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের সেবক এবং একজন সেবক হয়েই সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে সব সময় আমি তাদের পাশে থাকতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। এলাকার ভোটাররা এ উন্নয়নের প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সব উন্নয়ন কাজ আমার ইউনিয়নে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের কোনো মানুষই সরকারি কোনো সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না বলে আশা করি। আমি আমার ইউনিয়নের সব ইউপি সদস্য, সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিয়নটিকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা যেহেতু বাবা-ছেলে দুজনই চেয়ারম্যান, সেহেতু আমার এলাকার সাধারণ মানুষসহ পুরো উপজেলাবাসীরই প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা সে প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করছি এবং করব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেছি এবং এখনো করছি। আর এ জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেন এবং আমি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপিকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।