শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশি সেজে ফ্রা’ন্সে ‘আশ্রয়’ ভা’রতীয় দ’ম্পতির, অতঃপর আটক

প্রতিনিধির নাম / ৭৩ বার
আপডেট : শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। বাংলাদেশি সেজে ফ্রা’ন্সে ‘আশ্রয়’ ভা’রতীয় দ’ম্পতির, অতঃপর আটক

বাংলাদেশি সেজে ফ্রান্সে আশ্রয় নিয়েছিলেন এক ভারতীয় দম্পতি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে তারা বসবাসও করে আসছেন। তবে শেষ রক্ষা হলো না। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন ও দম্পতি। ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে তাদেরকে আটক করা হয়।

ইনফোমাইগ্রেন্টসের খবরে শুক্রবার বলা হয়েছে, ভুয়া বাংলাদেশি সেজে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছিলেন ফ্রান্সে। তাদের বাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করে পাসপোর্ট জালিয়াতি ও জাল নথি ব্যবহারের দায়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

স্বামী বিশ্বজিৎ দাস এবং একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ফ্রান্স থেকে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার নাগরিক রিংকু দাস। কিন্তু ফেরার পথে বাধে বিপত্তি।

গত ৮ জুলাই, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এই দম্পতির কাছে একইসঙ্গে ভারত ও ফ্রান্সের বিশেষ শরণার্থী পাসপোর্ট খুঁজে পান।

পুলিশ সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও এএনআই জানিয়েছে, ‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই দম্পতি স্বীকার করেছেন তারা পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের বাবা-মা তাদের ভারতীয় পাসপোর্টের ঠিকানায় থাকেন।

তারা ২০১৮ সালে কাতারে অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছিলেন। সেখান থেকে তারা সন্দীপ নামের একজন দালালের সাহায্যে অনিয়মিত উপায়ে ফ্রান্সে প্রবেশ করেন এবং সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে সাহায্যের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন।’

ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার তনু শর্মা জানান, ‘কাতারে চুক্তি হওয়া সন্দীপ নামের সেই এজেন্ট দম্পতিকে জানিয়েছিল বাংলাদেশি জাতীয়তা প্রমাণ করে এমন নথি থাকলে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সহজ।

পরবর্তীতে তারা একই এজেন্টের সাহায্যে প্রায় আট থেকে নয় লাখ ভারতীয় রূপির বিনিময়ে বাংলাদেশি জাতীয়তা প্রমাণ করে এমন নথি পান। যার সাহায্যে তারা ফ্রান্সে সুরক্ষা পেয়ে বসবাস ও চাকরি করছিলেন।’

ডেপুটি কমিশনার তনু শর্মার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘এই দম্পতির ভ্রমণ সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছিল। তারা ইতিপূর্বে ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভ্রমণ করেছে। এবার তারা ফরাসি পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। পরবর্তীকে দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’

পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ফরাসি নথিতে তাদের নামের সঙ্গে ‘সরকার’ উপাধি থাকলেও ভারতীয় পাসপোর্টে তারা দাস উপাধি ব্যবহার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎকে পুলিশ হেফাজতে এবং রিংকু দাসকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় লিখিত কাস্টডির মাধ্যমে পরিবারের অন্য সদস্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া দম্পতির জাতীয়তা নিশ্চিত করতে তাদের পাসপোর্টের তথ্য যাচাইয়ে আরপিও কলকাতার সাহায্য নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির আইপিসির ৪২০ ধারা, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় জাল নথিকে আসল হিসেবে ব্যবহার করা এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ