ঈদে দক্ষিণাঞ্চলে নৌ, সড়ক আর আকাশ পথে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি পৌঁছেছিল মানুষ। মূলত পদ্মা সেতু আগেকার দিনের সেই সব নির্মম ভোগান্তি লাঘব করেছে। এর প্রভাব পড়েছে আকাশ পথেও।
ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের বড়তি কোনো চাপ নেই বরিশাল বিমানবন্দরে। ঢাকা থেকে যাত্রীপূর্ণ করে ফ্লাইট এলেও বিগত ঈদের মতো বাড়তি ফ্লাইট যুক্ত করতে হয়নি। এ ছাড়া ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হলেও অগ্রিম বুকিং তুলনামূলক তেমন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিমান কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম তালুকদার বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে আসন পূর্ণ করে বিমান এলেও ফেরার পথের অগ্রিম টিকিট তেমন বিক্রি হয়নি। এর একটি বড় কারণ হতে পারে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। সেতু উদ্বোধনের কারণে অনেক যাত্রীই সড়ক পথ বেছে নিয়েছেন। এ কারণে বিমানে চাপ কমেছে। এ বছর যাত্রী সেবায় বিমানের স্পেশাল ফ্লাইট যুক্ত করেনি কোনো সংস্থা। স্বাভাবিক সময়ের মতোই রুট পরিচালনা করছে তারা।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বরিশালের ব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান বলেন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স বরিশাল রুটে দুটি ফ্লাইট সারা বছরই পরিচালনা করে আসছে এবং সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে যাত্রী পূর্ণ করেই বরিশালে আসছে বিমান। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নেই। যাত্রীদের চাপ বাড়লে আমরা তাদের সেবা দিতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছি।
নভোএয়ার এয়ারলাইন্সের বরিশালের ব্যবস্থাপক মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, নভোএয়ার বরিশালে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেলে ফ্লাইট বাড়ানো হয়। ঈদে সাধারণত যাত্রীর চাপ বাড়লেও এবার তেমন বাড়েনি। যে কারণে বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হয়নি। তিনি বলেন, সম্ভবত পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বরিশালের ব্যবস্থাপক শওকত আলী খান বলেন, ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করছে। প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট চলছে। ঢাকা থেকে যাত্রী পূর্ণ হয়ে এসেছিল বিমান। ইতোমধ্যে আমরা ফিরতি টিকিট অগ্রিম বুকিং শুরু করেছি। তবে ফিরতি টিকিট এখনি নিচ্ছে না যাত্রীরা।
তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার যাত্রীদের চাপ অনেক কম। এর একটি বড় কারণ পদ্মা সেতু চালু হয়ে যাওয়া। সেতু চালুর পর অনেকেই স্বল্প খরচে সড়ক পথে বাড়ি ফিরছেন। তাছাড়া সেতু দেখতেও অনেকে সড়ক পথ বেছে নিয়েছেন।