ছবি সংগ্রহীত
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামী এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর বর্ষারাণী রাজভরের (১৮) শ্বশুর রামনাথ রাজভরকে (৫৫) আটক করেছে পুলিশ।
বর্ষারাণী মা লক্ষীরানী রাজভর বলেন, ২০২১ সালের মার্চে প্রেম করে বর্ষারাণী ও দীপ্তর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে আমাদের বাড়িতে তেমন আসতে দিতেন না। এসএসসি পাশ করার পর এবার বর্ষাকে গাজীপুর বিজ্ঞান কলেজের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করানো হয়।
কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তা পছন্দ করতো না। স্বামী বেকার। বিভিন্ন সময় স্বামী-শ্বাশুড়িসহ যৌতুকের জন্য বর্ষাকে চাপ দিতেন। সর্বশেষ দীপ্তর দাদিকে দিয়ে বর্ষার কাছে ৫ লাখ টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার যৌতুক দাবি করেছিলেন তারা। এসব নিয়ে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় কলহ হতো।
লক্ষীরানী আরও বলেন, সোমবার রাত ৮টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামনাথ মোবাইল ফোন করে আমাদের জানান বর্ষা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। এ সময় দীপ্ত ছিল না। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারও বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে দ্বীপ্ত মৃত অবস্থায় হাসপাতালে বর্ষার মরদেহ রেখে গেছে। যা হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ রয়েছে। বর্ষার মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, বর্ষার কপালে ও গলার নিচে কালো দাগ রয়েছে। সোমবার রাতেই হাসপাতাল চত্বর থেকে দীপ্তর বাবা রাম নাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
স্বামী-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন
সূত্র বিডি২৪লাইভ