শ্রেণিকক্ষে সফল পাঠদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আদেশ নয়, সন্তোষজনক বেতন অপরিহার্য বলে মনে করেন সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা।
রোববার রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে তারা ৯-৩-১৪ সাল থেকে ১৪-১২-১৫ সাল পর্যন্ত শতভাগ টাইমস্কেল প্রদানে সরকারের কাছে আহ্বান জানান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টাইমস্কেল বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘শিক্ষকদের ক্ষুধার্ত রেখে আমরা শ্রেণিকক্ষে ভাল পাঠদান আশা করতে পারি না।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন ইতিবাচক প্রতিফলন আমরা এখন পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি না।
তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকগণ ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এদেশের প্রাথমিক শিক্ষা প্রসার ও উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছে। বাড়তি জনবল ছাড়াই আমরা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গত ১১ বছর যাবৎ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে আসছি। যার পাশের হার প্রায় ৯৮ ভাগ। অথচ ৯-৩-১৪ সাল থেকে ১৪-১২-১৫ পর্যন্ত ৭০ ভাগ শিক্ষকের টাইমস্কেল কার্যকর করেছে। বিভাগীয় অফিসগুলো নানা অজুহাতে শিক্ষকদের টাইমস্কেল দিচ্ছে না।
এসময় সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ০৯/০৩/১৪ হতে ১৪/১২/১৫ পর্যন্ত সময়ের প্রাপ্য টাইমস্কেল মঞ্জুরী প্রদানের বিষয়ে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত ০৩/০৬/২০১১ তারিখের ১৮৯ নম্বর পত্রটি ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ক ১০/১১/২০১১ তারিখের ১১০৫ নং পত্রটি জরুরি ভিত্তিতে কার্যকরে তারা আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলন শেষে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা দেন প্রধান শিক্ষকরা।
কর্মসূচিগুলো হলো, ১০ মার্চ দেশের সকল জেলায় শিক্ষক সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি দেয়া। ২৫ মার্চ প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাগণের সাথে আলোচনা। ৩০ মার্চ ঢাকায় সমাবেশ ও সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা।