শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫০ অপরাহ্ন

প্র’শংসায় ভাসছেন যুবক জোয়ারে ভেসে আসা হরিণ শাবক উ’দ্ধার

প্রতিনিধির নাম / ৬১ বার
আপডেট : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।। প্র’শংসায় ভাসছেন যুবক জোয়ারে ভেসে আসা হরিণ শাবক উ’দ্ধার

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পূর্ণিমার জোয়ারে পানিতে ভেসে যাওয়া হরিণ শাবক উদ্ধার করেছেন মোহাম্মদ হাসান (৩০) নামে এক যুবক। এরপর হরিণ শাবকটিকে জাগলার চড়ে ছেড়ে দেন তিনি। পরে হরিণ শাবকটি মায়ের কাছে ফিরে যায়। এমন মানবিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসায় ভাসছেন মোহাম্মদ হাসান।

গতকাল শুক্রবার (১৫ জুলাই) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের নলচিরা রেঞ্জের বিচ্ছিন্ন চর জাগলার চরে ঘটে। উদ্ধার করতে গিয়ে ওই হরিণ শাবকের সঙ্গে তোলা এক সেলফি ফেসবুকে বেশ সাড়া ফেলেছে। এরই মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়েছে।

হাসান সুখচর ইউনিয়নের হরিণ বাজার এলাকার মোজাহার মাস্টারের ছেলে। নদী ভাঙনের কারণে তিনি বর্তমানে এমপির পুল এলাকায় বসবাস করেন।

হাসান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন জাগলার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের গরু রয়েছে। হঠাৎ আমরা দেখতে পাই হরিণ শাবক মেঘনার পানিতে ভাসছিল।

তা দেখে মুহূর্তে আমি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং হরিণ শাবককে উদ্ধার করি। উদ্ধার করতে গিয়ে হরিণ শাবকটির সঙ্গে আমি একটি সেলফিও তুলি। হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে আমরা জাগলার চড়ে ছেড়ে দেই। জোয়ারের পানিতে মৃত্যুর হাত থেকে একটি হরিণ শাবককে বাঁচাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’

হাসানের সঙ্গে থাকা এবং এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. খোকন বলেন, ‘জাগলার চরে আমাদের গরু দেখাশোনা করতে গিয়ে হরিণ শাবকটিকে নদীতে ভাসতে দেখে হাসান তা উদ্ধার করে এবং আবার চরে ছেড়ে দেয়। হরিণ শাবকটি পুনরায় তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে দেখে আমরা আনন্দে আত্মহারা হই।’

নলচিরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন জানান, জাগলার চর অনেক পুরানো হওয়ায় নিঝুম দ্বীপ থেকে এখানে বিভিন্ন সময় অনেক হরিণ আসে। অনেক শাবকই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়, মারাও যায়।

হাসান নামে ওই যুবক জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা এক হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে চরে ছেড়ে দিয়েছে। এটি সত্যিই মানবিক কাজ। এমন কাজের জন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সবার মধ্যে এমন মানবিক গুণ থাকা উচিত।

নলচিরা রেঞ্জের বিচ্ছিন্ন চর জাগলার চরে ঘটে। উদ্ধার করতে গিয়ে ওই হরিণ শাবকের সঙ্গে তোলা এক সেলফি ফেসবুকে বেশ সাড়া ফেলেছে। এরই মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়েছে।

হাসান সুখচর ইউনিয়নের হরিণ বাজার এলাকার মোজাহার মাস্টারের ছেলে। নদী ভাঙনের কারণে তিনি বর্তমানে এমপির পুল এলাকায় বসবাস করেন।

হাসান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন জাগলার চরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের গরু রয়েছে। হঠাৎ আমরা দেখতে পাই হরিণ শাবক মেঘনার পানিতে ভাসছিল। তা দেখে মুহূর্তে আমি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং হরিণ শাবককে উদ্ধার করি।

উ’দ্ধার করতে গিয়ে হরিণ শাবকটির সঙ্গে আমি একটি সেলফিও তুলি। হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে আমরা জাগলার চড়ে ছেড়ে দেই। জোয়ারের পানিতে মৃত্যুর হাত থেকে একটিয় তার মায়ের কাছে ফিরে যেতে দেখে আমরা আনন্দে আত্মহারা হই।’

নলচিরা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রইছ উদ্দিন জানান, জাগলার চর অনেক পুরানো হওয়ায় নিঝুম দ্বীপ থেকে এখানে বিভিন্ন সময় অনেক হরিণ আসে। অনেক শাবকই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়, মারাও যায়।

হাসান নামে ওই যুবক জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা এক হরিণ শাবকটিকে উদ্ধার করে চরে ছেড়ে দিয়েছে। এটি সত্যিই মানবিক কাজ। এমন কাজের জন্য তিনি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। সবার মধ্যে এমন মানবিক গুণ থাকা উচিত।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ