শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

প্রবাসীদের গান শোনাতে মমতাজ গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। শাবনূর চালাচ্ছিলেন গাড়ি, মমতাজ গাইছিলেন গান।

প্রতিনিধির নাম / ১৪১ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

প্রবাসীদের গান শোনাতে মমতাজ গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। বেশ কয়েকটি স্টেজ শো শেষে ঢাকায় ফেরার আগে তাঁর মনে পড়ে ঢালিউড তারকা শাবনূরের কথা। অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বাঙালিদের জন্য কনসার্টের আয়োজকদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর হোটেল থেকে শাবনূরের বাসা কত দূর? তারপরই চমৎকার সেই ঘটনার সূত্রপাত।

মমতাজের হোটেল থেকে কাছেই শাবনূরের বাসা। তাঁর কাছে খবর পাঠানো হলো। মমতাজ সিডনিতে, সে খবর শোনার পর তিনি ছুটে যান শিল্পীর সঙ্গে দেখা করতে। তারপর দুজন মিলে সারা দিন ইচ্ছেমতো ঘোরাঘুরি করলেন। খাওয়াদাওয়া, আড্ডা আর হাসিঠাট্টায় চমৎকার কিছু সময় পার করলেন দুই শিল্পী। তারপর সিডনি বিমানবন্দর পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে মমতাজকে পৌঁছেও দিলেন শাবনূর। ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ মমতাজ।

সিডনি বিমানবন্দরে বিদায় দেওয়ার সময় শাবনূর ও মমতাজ এভাবেই ক্যামরাবন্দী হন
সিডনি বিমানবন্দরে বিদায় দেওয়ার সময় শাবনূর ও মমতাজ এভাবেই ক্যামরাবন্দী হনছবি : মমতাজের সৌজন্যে সিডনি বিমানবন্দর থেকে মমতাজ কথা বলেন প্রথম আলোর সঙ্গে। তিনি জানান, নায়িকা (শাবনূর) ড্রাইভ করেছেন আর তিনি শুনিয়েছেন গান।

কোন গান? মমতাজ বললেন, ‘সিনেমায় শাবনূরের লিপে আমার অনেক গানই ছিল। সবচেয়ে হিট গানের মধ্যে আছে “বধূ বেশে কন্যা যখন এল রে, যেন খুশির বন্যা বয়ে গেল রে”। “হৃদয়ের বন্ধন” সিনেমার গানটি গেয়েছি গাড়িতে বসে। আরও কয়েকটি গান ছিল। সবচেয়ে ভালো লেগেছে শাবনূর আমাকে গাড়ি চালিয়ে নানা জায়গায় ঘুরিয়েছে। দর্শনীয় সব জায়গা দেখিয়েছে। শপিং মলে নিয়ে গেছে। সারা দিন ধরে নিজে ড্রাইভ করেছে। শেষে আমাকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়েছে। আমি ইমিগ্রেশন ক্রস করা পর্যন্ত সে আমার সঙ্গে ছিল। আমাকে বিমানে তুলে দিয়েই তবে বাসায় ফিরেছে। তার এই আতিথেয়তা আমার অনেকদিন মনে থাকবে।’

প্রবাসীদের গান শোনাতে মমতাজ গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়।
মমতাজ তাঁর ফেসবুকেও শাবনূরের সঙ্গে কাটানো সময়ের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার খুব পছন্দের নায়িকা শাবনূর। আমি জানি, আমার মতো কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এই মেয়েটি। আজ সারা দিন সে সময় দিল শুধু আমার জন্য। অবশেষে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত। ভীষণ মিশুক একটা মানুষ। খুব ভালো থেকো তুমি, অনেক মিস করব তোমাকে।’

কথা হয় শাবনূরের সঙ্গেও। তিনি বললেন, ‘মমতাজ আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন শিল্পী। তাঁর আসার খবর শোনার পর দেখা করি। কত সুন্দর স্মৃতি আমাদের। তিনি আমার বেশ কয়েকটি সিনেমায় গান গেয়েছেন। সিডনিতে তাঁর সঙ্গে কাটানো সময়টা আমার জন্যও ছিল অসাধারণ।’

সিডনি বিমানবন্দরে বিদায় দেওয়ার সময় শাবনূর ও মমতাজ এভাবেই ক্যামরাবন্দী হন
সিডনি বিমানবন্দরে বিদায় দেওয়ার সময় শাবনূর ও মমতাজ এভাবেই ক্যামরাবন্দী হনছবি : মমতাজের সৌজন্যে ১৮ মে কয়েকটি স্টেজ শোতে অংশ নিতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মমতাজ। সর্বশেষ সিডনিতে কনসার্ট শেষে করে আজ সোমবার তিনি ঢাকার বিমানে চড়েছেন। অন্যদিকে পরিবার নিয়ে কয়েক বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকেন ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। তবে নিয়মিত বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন তিনি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ