লালমনিরহাট প্রতিনিধি || প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় মারধর।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্বামী আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী শরিফা আক্তারকে (৩৮) কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত শরিফা আক্তার স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
গত ৩১ মার্চ রাতে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ চারজনকে আসামি করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন- স্বামী আসাদুল ইসলাম (৪০), তার ছোট ভাই রাশেদ ইসলাম (৩৪), মাছির উদ্দিন (২৯), মোছা ছালেহা বেগম (৩০)।
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় ১৮ বছর আগে একই উপজেলার সিন্দুরনা ইউনিয়নের সাহির উদ্দিনের মেয়ে শরিফার বিয়ে হয় একই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের কালিরডাঙ্গা এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে আশাদুলের সাথে।
বিয়ের পর সংসারে তারা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু বিয়ের পরপরই বিভিন্ন অজুহাতে গৃহবধূ শরিফাকে অমানুষিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী আশাদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে গৃহবধূ শরীফা নির্যাতন সইতে না পেরে ঢাকায় চলে যান।
তালাকের নোটিশ পাওয়ার পর গৃহবধূ শরিফার কাছে তার ভুল স্বীকার করে ঢাকা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এদিকে গত ৩০ মার্চ প্রথম স্ত্রী শরিফা আক্তারকে না জানিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কনেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন আশাদুল।
দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করলে ৩১ মার্চ দুপুর ২টার দিকে আসামিরা একত্রিত হয়ে ভিকটিম শরিফা আক্তারকে মারধর করে। এ সময় মা শরিফা ও ছেলে সাকিবুল ইসলামের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শরিফা আক্তার জানান, পরিবারের অন্য সদস্যদের প্ররোচনায় আসাদুল আমাকে নির্যাতন করতো। তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি তাকে তালাক দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কিন্তু সে আমাকে আর নির্যাতন করবে না বলে ঢাকা থেকে বাসায় নিয়ে আসে। আমার অনুমতি ছাড়া তার পুনর্বিবাহের প্রতিবাদ করলে আশাদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে আহত করে। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত স্বামী আশাদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/ নরসিংদী জার্নাল