ছবি সংগ্রহীত
ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলে এবং প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার মাঝে বেশ ভালো বন্ধুত্বই ছিল। কিন্তু যুগের পর যুগ ধরে তাদের নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত ফুটবল বিশ্ব।
প্রশ্ন একটাই- পেলে নাকি ম্যারাডোনা? দুজনের মাঝে কে সর্বকালের সেরা? কেউ বলেন পেলে, কেউ বলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। অনেকে আবার হাল আমলের লিওনেল মেসিকেও সর্বকালের সেরা হিসেবে দাবি করেন।
কিন্তু আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচের চোখে কিন্তু পেলেই সর্বকালের সেরা।
সিজার লুইস মেনোত্তি কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনাকে ১৯৭৮ বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। তিনি নিজেও আর্জেন্টাইন। খেলোয়াড়ি জীবনে তার নাম ছিল ‘এল ফ্যালকো’। বোকা জুনিয়র্স ও সান্তোসের মতো ক্লাবে খেলতেন।
এই সান্তোসেই ১৯৬৮ সালে তিনি ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলেকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন। একসঙ্গে শিরোপাও জিতেছেন। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের তুলনায় কোচ হিসেবেই মেনোত্তি বিখ্যাত। তার কারণ একটাই- আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো।
‘ডি স্পোর্ত রেডিও’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ৮৩ বছর বয়সী সাবেক এই কোচ বলেন, ‘পেলেই সবার সেরা। সে ছিল অতিপ্রাকৃত। তাকে থামানো অসম্ভব ছিল।
তার জন্য প্রতিটি ম্যাচই ছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। অনুশীলনের সেশনকেও সে বিশ্বকাপ ফাইনাল বলেই মনে করত। মাঠে তাকে কাছ থেকে দেখাটা ছিল আনন্দের। সে এমন সব কারিকুরি করত, যা ছিল বোঝার বাইরে!’
এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ম্যারাডোনা আর মেসির ব্যাপারে। প্রয়াত কিংবদন্তি ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন। আর মেসি বিশ্বকাপ ফাইনালে খেললেও কখনো চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি। মেনোত্তি বলেন, ‘
ব্যক্তিগতভাবে আমি তার (পেলে) সঙ্গে কারো তুলনা করতে চাই না। সে সবার ওপরে, অনেক ওপরে। এরপর আমি অন্যদের বিবেচনা করি। ক্রুইফ, ডি স্টেফানো, ম্যারাডোনা আর হ্যাঁ মেসি। কিন্তু আমি মনে করি, পেলে সব সময়ের সবাইকে ছাপিয়ে গেছে।
সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বর