শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

পাশাপাশি ৭ জনের কবর, ৫ জনেরই প্রানহানি সড়ক দু’র্ঘটনায়

প্রতিনিধির নাম / ৭১ বার
আপডেট : রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০২২

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।। পাশাপাশি ৭ জনের কবর, ৫ জনেরই প্রানহানি সড়ক দু’র্ঘটনায়

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকার ফকির বাড়ি। বাড়ির পেছনে নতুন তিনটি কবরের সামনে মানুষের ভিড়। একই পরিবারের তিনজন নি’হত হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে এসেছেন সবাই।

তবে নি’হত জাহাঙ্গীরের মা সুফিয়া আক্তারের বিলাপ থামছেই না। অন্যদিকে কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও একপর্যায়ে কেঁদে ওঠেন বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।

হাউমাউ করে বলতে থাকেন, ‘এইহানে সাতজনের কবর। তাগর পাঁচজনই মরছে এক্সিডেন্টে। এই সড়কই আমার ভাই, দুই ট্রাকচাপায় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, পুত্রবধূ রত্না বেগম আর নাতনি সানজিদার মৃ’ত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০০৪ সালে বাড়ির সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মা’রা যান তার ছোট ছেলে শামসুল হক। এর আগে ১৯৯৫ সালে একই মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মারা যান ছোট ভাই ফজলুল হক। সবাইকেই শায়িত করা হয়েছে বসতঘরের পেছনে।
ছেলে, ছেলের বউ আর নাতিরে কাইড়া নিছে। আর কার জীবন নিব আল্লাহই জানে।’

বারবার সড়কে এমন মৃ’ত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। দুর্ঘটনার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়াকে দায়ী করেছেন সবাই। আল আমীন নামে এক যুবক বলেন, আমাদের এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনাটা বেশি ঘটে।

ছোট থেকে আমি ৫০ জনের ওপরে মৃ’ত্যু দেখেছি এই সড়কে। এখানে গাড়ির গতিবেগ থাকে চালকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই রাস্তা পারাপারের সময় বেশিরভাগ মৃ’ত্যুগুলো ঘটে। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থায়ই নেয় না। এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হোক যাতে এমন দুর্ঘটনা বন্ধ হয়।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ