কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী জার্নাল || পানিতে ভাসছে নিচু জায়গায় নিমার্ণ করা উপহারের ঘর।
পানিতে ভাসছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সবগুলো নতুন ঘর। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেখানে থাকা ২৭টি পরিবার।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে এমন নিচু জায়গায় ঘর করা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন স্থানীয় লোকজন। তাদের অভিযোগ ছিল, ঘর তৈরিতে মাটির নিচে ইট ব্যবহার করা হয়নি। এ ছাড়া নিম্নমানের ইট, বালি-রড, কাঠ ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারে করা হয়েছে। এজন্য তারা দায়ী করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ছৈয়দ সাকিল বলেন, অল্প বৃষ্টিতে পানি ঘরে ঢুকে গেছে। রান্নাঘর, যাতায়াত রাস্তা, টিউবওয়েল, বাথরুম পানিতে ডুবে আছে। এই জলমগ্ন দশা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা চান এই বাসিন্দা।
জনি নামক আরেক বাসিন্দা বলেন, আমাদের ঘর-বাড়ি নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঘর দিছে। অল্প বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। পানিবন্দি হয়ে প্রায় অনাহারে আছি। সাপ বা বিভিন্ন পোকামাকড় আক্রমণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক বাসিন্দা বলেন, গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘরগুলো দুর্যোগ আসার আগেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে। খুব নিচু জায়গায় ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু বলেন, বন্যা যখন আসছে মুজিববর্ষের ঘরগুলো চেনেনি হয়তোবা ও আশপাশের ঘরগুলো দেখেনি শুধু দেখেছে মুজিববর্ষের ঘরগুলো। একটা চোর, আরেকটা সাংবাদিক, হলুদ সাংবাদিক ও ইয়াবার সঙ্গে জড়িত এমন সাংবাদিক আমাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করতেছে। এগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা। এই বলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করার চেষ্টা করেন।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/নরসিংদী জার্নাল