মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:২২ অপরাহ্ন

‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপনে বিয়ে করে তরুণীর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে পালাল বর!

রাব্বি মল্লিক / ১৯১ বার
আপডেট : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

বরের সন্ধানে খবরের কাগজে ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ টাকা খোয়ালেন এক তরুণী। বরের নাম সুমন মজুমদার। নিজেকে পরিচয় দেন একজন অধ্যাপক হিসেবে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মালদহ জেলায়। বছর তিনেক আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুমন। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু বিয়ের দিনই ঘটে দুর্ঘটনা। পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের দিনই চম্পট দেন বর।

বিষয়টি নিয়ে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলার ইংরেজ বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পাত্রীর পরিবার। খবর আনন্দবাজারের। পাত্রী স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী। তার বাড়ি আলিপুরদুয়ারে। তার দাবি, খবরের কাগজে ‘পাত্র চাই’ বিজ্ঞাপন দেখে বছর তিনেক আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুমন মজুমদার নামে এক যুবক। তিনি নিজেকে রায়গঞ্জের একটি কলেজের অধ্যাপক বলে পরিচয় দেন।

তিনি আরও জানান, তার বাড়ি মালদহ শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লিতে। পাত্রীর অভিযোগ, তিনি বার বার বিয়ের কথা বললেও এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুমন। অথচ বিয়ের কথা বলে সুমন তাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে ছয় লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওই তরুণীর।

তরুণীর চাপে শেষ পর্যন্ত ২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার মালদহে বিয়ে করার আশ্বাস দেন সুমন। নির্দিষ্ট দিনে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে মালদহে যান ওই তরুণী। কিন্তু তার দাবি, বিয়ের দিন সকালে এক বার ফোন ধরেন সুমন।

তার পর থেকে তার মোবাইল সুইচড অফ। শেষ পর্যন্ত সুমনের ছবি নিয়ে সর্বমঙ্গলাপল্লিতে হাজির হন পাত্রী। কিন্তু তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর তারা ইংরেজ বাজার থানায় সুমনের ছবি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পাত্রীর কথায়, ‘কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে ওরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ফোনে ওর বাবাও কথা বলেন। তবে সুমন কোনও দিন নিজের ঠিকানা দেয়নি। শেষ পর্যন্ত ও মালদহে বিয়ে করবে বলেছিল। রায়গঞ্জের কোন কলেজে চাকরি করে তা-ও কোনও দিন বলেননি। এখানে এসে থেকে ওকে ফোনে পাচ্ছি না। আমি জানতে চাই ওর পরিচয় কী? তাই ইংরেজ বাজার থানায় অভিযোগ করেছি।’

পাত্রীর বাবা একজন সাবেক সেনাকর্মী। তার বক্তব্য, ‘কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে ওরা যোগাযোগ করেছিল। মেয়ে পছন্দ করার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ওরা থেকে বিয়ের খরচের অজুহাত দেখিয়ে ধাপে ধাপে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়। নিজেকে রায়গঞ্জ কলেজের অধ্যাপক হিসাবে পরিচয় দিত ছেলেটি। বার বার বলা সত্ত্বেও আমাদের বাড়িতে ছেলে কোনও দিনই যায়নি। তবে মেয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করত।’

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ