কক্সবাজার প্রতিনিধি, নরসিংদী জার্নাল || পর’কীয়ার জেরে শ্বাশুড়িকে হ.ত্যা করল পুএবধূ।
কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির হাজীপাড়ায় ৩ বছর আগে নিজের ভাইঝিকে পুত্রবধূ করে ঘরে তোলেন মমতাজ বেগম। সুখে-দুঃখে চলছিল ৩ সদস্যের সংসার। কিন্তু পুত্রবধূর পর’কীয়ার ব’লি হয়ে শাশুড়ি ৬ টু”করো লা”শ হবেন তা কেউ জানতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক গণ্যমান্য ব্যক্তি জানান, মাস দুয়েক আগে শাশুড়িকে বি”ষপানে হ.ত্যার চেষ্টা করেছিল পুত্রবধূ রাশেদা বেগম।
পরে গোপন শালিসে এর মীমাংসা করা হয়। কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতে রাশেদা প’রকী’য়ায় জড়িয়ে পড়ে। দিনরাত পুত্রবধূর কানে মোবাইল শাশুড়ির দৃষ্টিকটু লাগে। বাড়ির কাজকর্ম না করে সবসময় মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকায় শাশুড়ি তাকে বাধা দেয়। কার সঙ্গে কথা বলে জিজ্ঞাসা করে। এতে শাশুড়ির প্রতি ক্ষি’প্ত হয় রাশেদা।
সেই ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে বউ-শাশুড়ির মাঝে মনোমালিন্য চলে আসছিল। পর’কী’য়ার কারণে রাশেদা জন্ম’নিরোধ ঔষুধ খেয়ে বাচ্চা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বামী আলমগীর। মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীর জীবিকার তাগিদে কক্সবাজার শহরে কলাতলীতে আবাসিক হোটেল বয়ের কাজ করেন
শনিবার (১৬ জুলাই) নাইট ডিউটি থাকায় সন্ধ্যার আগেই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতে শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করে রাশেদা। একপর্যায়ে শাশুড়িকে হ”ত্যার পর দুই হাত, দুই পা, মা’থা বি.চ্ছি’ন্ন করে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে মা’টিচা’পা দেয়।
আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোববার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাড়িতে এসে মাকে খোঁজ করলে রাশেদা বলে— মা মেয়ের বাসায় বেড়াতে গেছে। আমি বোনকে ফোন দিলে মা সেখানে যাননি বলে জানায়। পরে টিউবওয়েলে পা ধুতে গিয়ে মাটি খোঁড়ার চিহ্ন দেখে আমার মন ছটফট করছিল। সেখানে মাটির নিচে মায়ের শাড়ির অংশ দেখতে পাই।
পরে প্রতিবেশী ও পুলিশকে খবর দিয়ে সেই স্থান খুঁড়ে মায়ের ৬ টু’ক’রো ম.রদে’হের অংশ বের করে।’ পুত্রবধূ রাশেদা বেগম ঘটনার বিষয়টি সাংবাদিকদের স্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে দা নিয়ে কো”পাতে এসেছিল শাশুড়ি।
এ সময় জানতে চাইলাম, আমাকে কেন মা’রতে আসছেন? তিনি কথা না শুনে দা নিয়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি দা ধরে ফেলি। পরে বাকবিতণ্ডায় আমার দায়ের কো’প শাশুড়ির গা’য়ে লেগে যায়।
এতে তার মৃ.ত্যু হয়। পরে আমি ভয় পেয়েছিলাম। সেজন্য ম.রদে’হ বস্তায় ভরার চেষ্টা করি। কিন্তু বস্তায় ম.র’দেহ না আঁটায় আমি টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে টিউবওয়েলের পাশে পুঁতে ফেলি।’ ওইদিন বিকেলে বাড়ির আঙিনা থেকে শাশুড়ির ৬ টু.ক’রো ম.র’দেহ উদ্ধার করে রামু থানা পুলিশ।
রামু থানার ওসি তদন্ত অরূপ কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি জানান, ‘বউ-শাশুড়ির পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি মমতাজ বেগমকে হ,ত্যা করে বাড়ির আঙিনার টিউবওয়েলের পাশে মাটি চা’পা দেয় রাশেদা বেগম।
আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ম,রদে’হ উদ্ধার করি।’ শাশুড়িকে হ.ত্যা’র পর দিন রোববার (১৭ জুলাই) রোজা রেখেছিল রাশেদা। রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, শাশুড়িকে হ.ত্যা’র বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন রাশেদা। এ ব্যাপারে রামু থানায় মামলা হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শারমিন /নরসিংদী জার্নাল