শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতুতে উঠতে না পারার আ’ক্ষেপ গরু ব্যবসায়ী বজলুরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী জার্নাল / ৭৬ বার
আপডেট : শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী জার্নাল।। পদ্মা সেতুতে উঠতে না পারার আ’ক্ষেপ গরু ব্যবসায়ী বজলুরের

‘যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হইলো ওইদিন আমাদের এলাকায় খুব আনন্দ হইছে। ভাবতেছিলাম গরু নিয়ে সেতু দিয়ে ঢাকায় আসব। ট্রাকের দালাল আর ড্রাইভার খরচ বাঁচাইতে গিয়ে ফেরি দিয়ে নিয়ে এলো।’

এভাবেই সুযোগ থাকার পরও স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে না পারার আক্ষেপের কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ী বজলুর রহমান।

১৪ বছর ধরে ঝিনাইদহ থেকে কোরবানি গরু ঢাকায় নিয়ে আসেন বজলুর। প্রতিবছর ট্রাক নিয়ে পদ্মা সেতু ফেরিতে পার হতে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাকে। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় সেই দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।

কিন্তু ইচ্ছা থাকার পরও সেতু দিয়ে ঢাকায় আসতে না পারায় ফেরিতে লম্বা সময় অপেক্ষা করে আসতে হয়েছে। যদিও অন্য সময়ের তুলনায় এবারের ফেরির চিত্রও ভিন্ন ছিল বলে জানালেন এই ব্যবসায়ী।

বুধবার দুপুরে ধোলাইখাল পশুর হাটে ১১টি গরু নিয়ে আসা বজলুর রহমানের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানা যায়।

গত ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয় পদ্মা সেতুর। দেশের সর্বস্তরের মানুষের স্বপ্নের এই সেতু দিয়ে ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে আসে।

বজলুর রহমান জানান, কাছাকাছি সময়ে ঝিনাইদহ থেকে রওনা হয়ে যারা সেতু দিয়ে এসেছেন তাদের চেয়ে তিন ঘণ্টা পর তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন।

সবসময় ধুপখোলা মাঠে গরু বিক্রির জন্য আসলেও এবার সেখানে সিটি করপোরেশনের সংস্কার কাজ হওয়ায় ধোলাইখালের হাটে এসেছেন তিনি। তার সঙ্গে একই এলাকার আরও বেশ কয়েকজন এসেছেন এই হাটে। সবারই আফসোস সুযোগ থাকার পরও পদ্মা সেতু পার হতে পারেননি।

কেন সেতু দিয়ে আসা গেল না জানতে চাইলে বজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা যার কাছ থেকে ট্রাক নিয়েছি ওই দালাল আর ড্রাইভার মিলে কাজটা করছে। ফেরিতে খরচ কম তাই ওইটা নিয়ে আসছে। কিন্তু ওরা যদি বাড়তি টাকা লাগবে বললে আমরা দিয়ে দিতাম। তবুও ব্রিজটা পার হওয়ার সুযোগ পাইতাম।’

গরু বিক্রি করে ফেরার সময় সেতু দিয়ে পার হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘যাওয়ার সময় আর মিস হইবে না। এতবড় একটা কাজ প্রধানমন্ত্রী করলেন। সবাই আনন্দ করলো কিন্তু আমরা উঠতে পারলাম না।’
পাশে দাঁড়ানো আরেক ব্যবসায়ী রমজান মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ফেরিঘাটের কষ্ট দূর হইছে এখন শান্তি। এবার গরু বেশি আসবে। রাস্তায় ভোগান্তি নেই।‘

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে এই দুই ব্যবসায়ী বলেন, খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় গরুর বাজারে প্রভাব পড়বে। স্বাভাবিকের চেয়ে দাম অবশ্যই বেশি হবে।

এত আগে গরু নিয়ে আসার কারণ কী জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, পরে আসলে ভালো জায়গায় গরু রাখা যায় না। প্রথম আসায় পছন্দমতো একদম সামনের দিকে জায়গা পেয়েছেন।

আপাতত হাটের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় খুশি হলেও গরু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু ঠিক থাকবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ের কথাও জানান তারা। এরবাইরে বৃষ্টি নিয়েও এক ধরণের উদ্বেগ আছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাসরিফ/নরসিংদী জার্নাল

 

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ