ছবি সংগ্রহীত
দিনাজপুরের বিরামপুরে এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দেন সাদিনা বেগম নামে এক গৃহবধু। ১৮ জুলাই বিরামপুর ইমার উদ্দিন কমিউনিটি হাসপাতালে জন্ম নেওয়া তিন শিশুর নাম রাখা হয় স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। শনিবার (২৩ জুলাই) ‘পদ্মা’ নামের শিশুটি মারা যায়। এর একদিন পর আজ রোববার (২৪ জুলাই) রাতে ‘সেতু’ নামের শিশুটিও মারা গেছে। পদ্মা ও সেতুর মৃত্যুর পর এখন মায়ের কোলে শুধুই ‘স্বপ্ন’।
শিশুদের বাবা বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত ৯টা ১৫ মিনিটে সেতু নামের শিশুটিও মারা গেছে। শনিবার বিকেলে পদ্মা মারা যাওয়ার পর সেতু ও স্বপ্ন বেশ ভালো ছিল। হঠাৎ আজ সেতুও মারা গেছে।
পরিবার থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৮ জুলাই বিরামপুর ইমার উদ্দিন কমিউনিটি হাসপাতালে স্বাভাবিকভাবে তিন সন্তানের জন্ম দেন সাদিনা বেগম। নবজাতকদের নাম রাখা হয় স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। সন্তানদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর একদিন পর শিশুদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়
আরও পড়ুন ??
আশুলিয়ায় ৩৫ যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি, অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃ”ত্যু
সাভারের আশুলিয়ায় নৌকাযুগে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে তুরাগ নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে রোজিনা বেগম (২২) নামের এক অন্ত:সত্বা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে আজ সোমবার সকাল ৮ টা দিকে তৈয়বপুরের নদীতে ৩০ থেকে ৩৫ যাত্রী নিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় সবাই তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন রোজিনা বেগম। নিহত রোজিনা বেগম রংপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার নয়াপাড়া গ্রামের আশিকুর রহমান স্ত্রী। তিনি আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানা চাকরি করতেন।
ডিইপজেড ফায়ার সার্ভিস জানায়, আশুলিয়ার তৈয়বপুরর তুরাগ নদী পথে নৌকাযোগে জিরাবো যাচ্ছিলেন ৩০-৩৫ জন যাত্রী। নৌকাটি নদীর মাঝাখানে পৌছলে হঠাৎ ডুবে যায়। এসময় সবাই তীড়ে সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও অন্তঃসত্বা রোজিনা বেগম নিখোঁজ হন। পরে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের লিডার ইদ্রিস হোসেন বলেন, তুরাগ নদীতে নৌকা ডুবির খবর পেয়ে ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর নিখোঁজের কোন তথ্য না থাকায় আমরা অভিযান সমাপ্ত করেছি।
নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর কারনে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। নদীতে কোন ঢেউ বা স্রোত ছিলো না। নিহতের মরদেহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।