অনলাইন ডেস্ক || নবীজি যে ৪ বিষয় নিয়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন।
মানুষ সর্বদায় আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আল্লাহ ছাড়া সমগ্র পৃথিবী অচল। আল্লাহর ইচ্ছা-অনিচ্ছা কোনো কিছুরই বিকল্প নেই। সব সুখ-শান্তি আল্লাহ তায়ালা দান করেন। আর সব বিপদ-আপদ থেকেও তিনি রক্ষা করেন।
আল্লাহর কাছ থেকে সকল প্রকার বিপদ- আপদ থেকে রক্ষা করা জন্য আশ্রয় চাইতে হবে। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যখন তোমাদের কেউ তাশাহহুদে উপনীতে হয়, তখন যেন সে ৪টি বিষয় থেকে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে। তখন বলবে, হে আল্লাহ, আমি আপনার প্রার্থনা করছি যে আমাকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে,কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃ’ত্যুর ফেতনা থেকে এবং দা’জ্জালের ফেতনার ভয়াবহতা থেকে।’(রিয়াজুস সালেহিন, হাদিস : ১৪২৩)
আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন , এ বিষয়ে শুধু অন্যকে আশ্রয় কামনা করতে বলেননি; বরং নিজেও আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) সবসম দোয়া করতেন ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে জাহা’ন্নামের শা’স্তি থেকে, কবরের শা’স্তি থেকে, জীবন ও মৃ’ত্যুর ফেতনা থেকে এবং দা’জ্জালের ফে’তনা থেকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৭৭)
১. আল্লাহ কবরের শা’স্তি থেকে আশ্রয়
হাদিসে সর্বপ্রথম কবরের শা’স্তি থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে। কেননা পরকালের প্রথম স্তর হলো কবর। যে ব্যক্তি কবরের আ’যাব থেকে মুক্তি পাবে,পরকালে তার জন্য পরবর্তী স্তরগুলো সহজ হয়ে যাবে। আর কবরে শা’স্তি পাওয়া হলো তার জন্য হয়তো আরো কঠিন সময় আছে।
২. জাহা’ন্নামের শা’স্তি থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ
রাসুল (সা.) জাহা’ন্নামের শা’স্তি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করেছেন। জাহা’ন্নাম হলো পরকালের শা’স্তি দায়ক স্থান মহান আল্লাহ
তার অবাধ্য ও পাপী বান্দাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। পরকালের এই শাস্তির ভয়াবহতা মানুষের কল্পনার অতীত। তাই পূর্ববর্তী সব বুজুর্গ, সাহাবায়ে কেরাম (রা.), এমনকি নবী-রাসুলগণ (আ.) পর্যন্ত জাহান্নামের শাস্তি থেকে আল্লাহর কাছে মুক্তি কামনা করেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর অনুগ্রহে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে সে সেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এটাই মানবজীবনের চূড়ান্ত সাফল্য।
৩. জীবন-মৃত্যুর ফেতনা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া
এর দ্বারা উদ্দেশ্য পার্থিব জীবনের বিপদ-আপদ ও পরীক্ষাগুলো। এমন বিষয় যা মানুষকে ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন- কুফর, শিরক, প্রবৃত্তিপূজা, পাপাচার, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ইত্যাদি।
৪. দাজ্জালের ফেতনা আল্লাহর আশ্রয়
কিয়ামতের পূর্বে দাজ্জাল পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করবে এবং পৃথিবী এক ভয়াবহ ফেতনায় আক্রান্ত হবে। তার কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঈমানহারা হবে। দাজ্জালের ফেতনা কিয়ামতের বড় বড় ফেতনাগুলোর অন্যতম। দাজ্জাল অস্বাভাবিক ক্ষমতার অধিকারী হবে। যেমন মৃতকে জীবিত করা, সবুজ ভূমিকে বিরান ভূমিতে পরিণত করা, পৃথিবীর ধনভাণ্ডার উন্মুক্ত করা ইত্যাদি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। হিমেল/নরসিংদী খবর