নিজস্ব প্রতিবেদক।। ধর্মান্তরিত হয়ে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে।
কুড়িগ্রামে প্রেমের টানে গৌতম রায় (২৮) নামের এক যুবক ধর্মান্তরিত হয়ে এক মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করেছেন। ওই তরুণীর নাম পায়েল আক্তার (১৮)। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বঙ্গোসোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের আমির হোসেন ও জাহানারা বেগম দম্পতির ছোট মেয়ে পায়েল আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।
অপরদিকে একই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে মৃত গোপাল রায়ের স্ত্রী নীলা রাণী (৫৫) দুই ছেলে ও এক ছেলের বউসহ বসবাস করে আসছেন। নীলা রাণীর ছোট ছেলে গৌতম (২৮) উপজেলা কলেজ মোড়ে একটি হোটেলে কাজ করেন। গৌতমের পায়েলের বাসায় অনেক আগে থেকে যাওয়া-আসা ছিল। এই সুযোগে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গৌতম ও পায়েল দুজনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শনিবার পালিয়ে গিয়ে দিনাজপুরে গৌতমের এক বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা কোর্টে অ্যাফিডেভিডের মাধ্যমে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
পায়েলের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর থানা পুলিশের সহায়তায় মঙ্গলবার তাদের দুজনকে উদ্ধার করে ভুরুঙ্গামারী থানায় নিয়ে আসে। পরে গৌতম ও পায়েলের পরিবার উভয়ে বিয়ের স্বীকৃতি দিয়ে শনিবার রাতে মেয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পায়েলের মা জাহানারা বেগম বলেন, গৌতমকে আমাদের বাড়িতে আনার পর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাকে কালেমা পড়ানো হয়েছে এবং ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী আমরা আজ আবার বিয়ে দিয়েছি।
গৌতমের মা এবং ভাইয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানতে চাইলে গৌতম বলেন, আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে পায়েলকে বিয়ে করেছি। এখন আমার নাম মো. জীবন ইসলাম। আমার সুন্নাতে খৎনাও সম্পন্ন হয়েছে।
উরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একে এম মাহমুদুর রহমান রোজেন জানান, আমি অসুস্থ। আর এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
ভুরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেনকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা,ছবি,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।