জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || দেশে আরও কমলো রিজার্ভ।
আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দেশে মার্কিন ডলারের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিক কমছে। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানা গেছে, দেশে গত কয়েক মাস ধরে রিজার্ভ নিম্নমুখী। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ তিন হাজার ৯৪৯ কোটি (৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) ডলারে। প্রতি মাসে আট বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসাবে মজুতের বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
এ দিকে আমদানি বেড়ে যাওয়া ও প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে মার্কিন ডলারের চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে দাম। অপরদিকে ডলারের বিপরীতে পতন হচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বুধবার (২৭ জুলাই) ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে।
অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক এদিন সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এ দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করেছে। নিয়ম অনুযায়ী এটিই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর। একদিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। মে মাসের শুরুর দিকে এ দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। সে হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা।
তবে খোলা বাজারে চিত্র ভিন্ন। মঙ্গলবার সব রেকর্ড ভেঙে খোলা বাজারে নগদ প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১১২ টাকায়। তবে বুধবার কিছুটা কমে ১০৯ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে কেনাবেচা হয়।
উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালের জুন মাসের দিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। ৫ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়। গত কয়েক মাসে ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। সবশের্ষ রিজার্ভ এসে দাড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন ডলারে।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আশিকুল/নরসিংদী জার্নাল