পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় দেবরকে বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননী (৩৫) অনশন করছেন। বুধবার রাত থেকে তিনি উপজেলার করমজা ইউনিয়নের আফড়া হিন্দুপাড়ার দেবর ইব্রাহিম শেখের (২৭) ঘরে অবস্থান নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি দেবরের ঘরে ছিলেন। ইব্রাহিম শেখ ও সম্পার স্বামী হেলাল ড্রাইভার আফড়া গ্রামের মৃত মোকারম শেখের ছেলে। ভাবির অনশনের খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন ইব্রাহিম।
ওই নারীর দাবি, বিয়ের পর থেকেই দেবর ইব্রাহিম শেখের সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর ধরে তার পরকীয়ার সম্পর্ক। গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) গোপনে অন্যত্র ইব্রাহিমের বিয়ে ঠিক করে পরিবার।
আগামী শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে তিনি দেবরের ঘরে অনশনে বসেছেন।
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকেই ছোট দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি বিয়ের কথা বললে নানা বাহানা দেখিয়ে অনেক বছর পাশ কাটিয়ে যায় ইব্রাহিম।
দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করে বাবার বাড়ি চলে গেলে ইব্রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ফিরে আসতে বলে। গত সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সে শাহজাদপুর মসজিদে গিয়ে শপথ করেছে দু-চারদিনের মধ্যে পালিয়ে আমাকে বিয়ে করবে।
এখন আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেখে গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে। বিষয়টি জানার পর দেবর ইব্রাহিমের ঘরে বিয়ের দাবিতে বসে আছি। বিয়ে না করলে দেবরের ঘরেই গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবো।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইব্রাহিম শেখ বলেন, ভাবির সঙ্গে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। সে আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করে আমার বিয়ে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। সে এর আগেও আমার দুই-তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।
এ বিষয়ে করমজা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবু দায়েন কালু জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি। তবে মীমাংসার জন্য আমার কাছে বা ইউনিয়ন পরিষদে কেউ আসেনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ খবর মিডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। রাব্বি মল্লিক/এনজে