শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৬ অপরাহ্ন

দীঘি : নিজেকে অনেক ভাঙতে হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক / ১০৮ বার
আপডেট : সোমবার, ৩০ মে, ২০২২

বিনোদন ডেস্ক || দীঘি : নিজেকে অনেক ভাঙতে হয়েছে ।

চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি বলেন বড় পর্দার অভিষেকটা মনের মতো হয়নি । প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’ দিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা মেটাতে না পারায় সবসময়ই আফসোসে মন পুড়ে তার। সে সময়ের আলোচনা-সমালোচনার পর তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ভুলগুলো শুধরে ভালো কাজ উপহার দেয়াই একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যের প্রথম ধাপ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এবার এই নায়িকার ওয়েব দুনিয়ায় অভিষেক হতে যাচ্ছে। দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদক মাজহারুল তামিম-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।

আগামী ২ জুন ওটিটি প্লাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে দীঘির প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘শেষ চিঠি’। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন ধর। সিনেমাটিতে দীঘি অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহানের বিপরীতে। ওয়েব জগতে আপনার অভিষেক ঘটছে।

কেমন লাগছে? এ নায়িকা বলেন, অবশ্যই ভালো লাগছে। চরকির মতো একটা বড় প্লাটফর্ম দিয়ে আমার অভিষেক হচ্ছে, এর জন্য অনেক খুঁশি এই মূহুর্তে।

আপনার প্রথম সিনেমার ট্রেলার নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। শুক্রবার তো (২৭ মে) ওয়েব ফিল্মের টিজার প্রকাশিত হয়েছে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন? দীঘি বলেন, আগের বারের থেকে একদম বিপরীত। এবার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। টিজারটা ভালো লেগেছে এমনটাই জানালো অনেকে। কাজটি নিয়ে প্রত্যাশা কতটুকু?

দীঘি বলেন, এতটুকু বলতে পারি এই সিনেমাটা দেখে কারো খারাপ লাগবে না। এটা এমন একটা গল্প যে দর্শক নিজের সাথে রিলেট করতে পারবে। রোমান্টিক ঘরানার পারিবারিক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘শেষ চিঠি’।আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি ভালো অভিনয়ের। ইয়াশ, সাবেরী আলম আন্টি খুবই ভালো শিল্পী। তাদের সঙ্গে যখন ক্যামেরাবন্দি হচ্ছিলাম নিজেরই ভয় লাগছিল! আরকেটা ব্যাপার হচ্ছে, এখন ওয়েবে আমরা অনেক রকমই গল্প দেখি।

কিন্তু রোমান্টিক গল্প কমই আসে। বেশিরভাগ থ্রিলার, অ্যকশন গল্প দেখি। আমার মনে হয়, রোমান্টিক একটা গল্প দেখলে ভালোই লাগবে। যে জায়গাটা ভালো লাগবে না সমালোচকরা জানাক, আমি শুধরে নিবো পরের কাজে। এর গল্প ও আপনার চরিত্রটি কেমন? এ অভিনেত্রী বলেন, একজন মেয়ের সংসারের গল্প বলা যেতে পারে। চরিত্রটার নাম তুলি। পরিচালক যখন গল্পটা শুনিয়েছিল তখন বলেছিলেন তুলি হচ্ছে একটা প্রজাপতি। যার অনেক রং এবং নানাভাবে সে উড়ে বেড়ায়।

তার জীবনে যখন দুঃখ আসে তখন সে কীভাবে ডিল করে সেটা নিয়েই গল্প। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? এ নায়িকা বলেন, অনেক ভালো। শুটিং বেশিদিন ছিল না। চার/পাঁচ দিন শুটিং করেছি। এতো ভালো একটা টিম পেয়েছি। ইয়াশ, সুমন ধর, ডিওপি রাজু রাজ প্রত্যেকে প্রতিটা সময়ে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। চরিত্রটি করতে কী কী চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে? দীঘি বলেন, আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল পুরো কাজটাই। তুলি হওয়ার জন্য নিজেকে অনেক ভাঙতে হয়েছে। কিছু বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত ছিলাম না। মানিয়ে নিয়েছি।

আপনি শিশুশিল্পী হিসেবে সফল ছিলেন। কিন্তু নায়িকা হিসেবে ক্যারিয়ার নিয়ে সুন্দর পরিকল্পনার অভাব আছে। এমনটা চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের ধারণা। আসলেই কী তাই? এ নায়িকা বলেন, আমি বার বারই বলি আমার ভুলগুলো যেন সবাই ধরিয়ে দেয়। তাহলে আমার সামনে যেতে খুব সহজ হবে। যে যত বার ভুল ধরিয়ে দিয়েছে আমি শুধরানোর পুরোপুরি চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি, করে যাচ্ছি। আসলে ভালো সিনেমা করতে চাই বলেই এক বছর বড় পর্দার বাইরে এখনও। ভালো কাজ করতে চাই বলেই চুপ করে বসে আছি। কারণ, আমি চাই না আমাকে নিয়ে কোনোভাবে আর সমালোচনা হোক কিংবা কোনো খারাপ কাজ আসুক। ইনশাআল্লাহ সামনে ওইরকম কোনো কাজ নিয়েই বড় পর্দায় ফিরবো।

এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আশিকুল/নরসিংদী জার্নাল

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ