ছবি সংগ্রহীত
আজ সকালে গাজিপুরের শ্রীপুরে জারিয়া অভিমুখী ৪৯ আপ বলাকা কমিউটারের সাথে গার্মেন্টস যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে ট্রেনের সামনে বসে থাকা ২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৩০ জন।
আজ রবিবার ২৪ জুলাই সকাল সাতটার দিকে মাইজাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গেট ম্যান না থাকায় ঘটনাস্থলে প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামান ফ্যাশনের শ্রমিকবাহী গাড়িটি কারখানায় যাচ্ছিলো। লেভেল ক্রসিংয়ে গেট নামানো না থাকায় রেললাইনে উঠে পড়ে বাসটি। সেসময় চলে আসে ময়মনসিংহগামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেন।
বাসটিকে ঠেলে বেশ কিছুদূর নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় দু’জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। গেটম্যানের গাফিলতিতে এ দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা
আরও পড়ুন ??
পানির স্রোতে ভেঙে গেল সড়ক, ১০ গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
এবার টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পানির স্রোতে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ১০ গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। গত শুক্রবার ২৩ জুলাই বিকেলে উপজেলার সিলিমপুরে এলেংজানী সেতুর এক পাশের সড়ক ভেঙে যায়।
এদিকে, সেতুর এক পাশ ভেঙে যাওয়ায় বিকল্প সড়ক না থাকায় স্থানীয় ডিঙি নৌকায় নদী পারাপার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সিলিমপুর গ্রামের মোবারক বলেন, নদীতে পানি বাড়ার সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেতুর সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বন্যার শুরুতে সেতুর আশপাশে নদী ভাঙন দেখা দেয়। সে সময় সেতুর কিছু অংশ ভেঙে গেলেও অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করে চলাচলে তেমন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। তবে পুনরায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে এলেংজানী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর একপাশের অ্যাপ্রোচ ভেঙে চলাচল বন্ধ হয়েছে। এতে আশপাশের প্রায় ১০ গ্রামসহ চরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে উপজেলার দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহমিনা আকতার বলেন, ভেঙে যাওয়া সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেতুর এক পাশের সড়ক ভেঙে গেছে