ছবি সংগ্রহীত
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকের চাপায় স্বামী, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সন্তান নিহত হন। তবে এ ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে গর্ভে থাকা সাত মাস বয়সী নবজাতক।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে জীবিত অবস্থায় নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রাইমনি গ্রামের ফকির বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না (৩০), মেয়ে সানজিদা (৬)।
ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আফসারী বলেন,
সানজিদা নামে শিশুটি হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। তবে নিহত অন্তঃসত্ত্বার প্রসব হওয়া কন্যা সন্তান জীবিত আছে। তার একটি হাত ভেঙে গেছে। তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ত্রিশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাঙ্গীর আলম অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তার মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে আল্টাসনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী রত্না বেগম মারা যায়। ঘটনাস্থলেই রত্না সন্তান প্রসব করেন। এ সময় তাদের মেয়ে সানজিদা আক্তার গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সানজিদা মারা যায়। নবজাতককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘাতক ট্রাক জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।