নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী খবর ||
টুপি ইসলামের একটি ‘শিয়ার’ বা দৃশ্যমান নিদর্শন। মুসলমানের পরিচয় বহনকারী পোশাক। টুপি পরতে পারেন যে কেউ। তবে টুপি পরে নামাজ সবাই পড়েন না।
কেউ হয়তো ইচ্ছে করেই টুপি ছাড়া নামাজ পড়েন। আবার কেউ আছেন ব্যস্ততার কারণে অথবা অন্য যেকোনো অসুবিধার ফলে টুপি ছাড়া খালি মাথায় নামাজ পড়ে থাকেন। প্রশ্ন হলো, টুপি ছাড়া খালি মাথায় নামাজ পড়া কেমন? সম্প্রতি এক ব্যক্তি দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এমন একটি প্রশ্ন করেছেন। প্রশ্নকারী তার প্রশ্নে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ আজকাল অধিকাংশ মসজিদে খালি মাথায় নামাজ পড়ে।
আগে শুধু গাইরে মুকাল্লিদদেরই খালি মাথায় নামাজ পড়তে দেখা যেত। কিন্তু এখন হানাফি অনুসারী কিছু লোকও খালি মাথায় (টুপি ছাড়া) নামাজ পড়ছেন। কিছু লোক তো এটাকে অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন। সবসময় ও সব নামাজ খালি মাথায়ই পড়ে। যদিও তারা বাড়ি থেকেই আসুক না কেন? প্রশ্ন হলো, খালি মাথায় নামাজ পড়া কেমন? খালি মাথায় নামাজ পড়ার অভ্যাস বানানোটা কেমন?’
জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘নামাজ তো টুপি ছাড়াই আদায় হয়ে যায়। কিন্তু অলসতার বশবর্তী হয়ে এমনটা করা মাকরুহ ও শরিয়ত পরিপন্থি। আর এটাকে অভ্যাসে পরিণত করা আরও খারাপ বিষয়।’ টুপি ও পাগড়ি সুন্নত পোশাকের অংশ। নবী করিম (সা.) ও সাহাবাদের আমলের মধ্যে টুপি ও পাগড়ি উভয়টিই প্রমাণিত রয়েছে। তাই মুসলমানদের উচিত নামাজের পাশাপাশি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও সুন্নত পোশাকের প্রতি গুরুত্ব বজায় রাখা’ (আদ দুররুল মুখতার মাআ রদ্দুল মুহতার : ২/৪০৬; ফতোয়া উসমানী : ৪/৩৪২)।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ । রিপু /নরসিংদী খবর