মধুর উপকারিতা অনেক। তবে খাঁটি মধু না হলে, হতে পারে এর বিপরীত। ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মধু চেনা এখন খুবই কঠিন। তবে বেশ কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করে ও কয়েকটা পরীক্ষার মাধ্যমে খাঁটি মধু চেনা যেতে পারে। মধু যেহেতু বিভিন্ন রকম হয়, তাই খাঁটি মধু চেনার পদ্ধতিগুলোও নানা রকমের।
মধু সংরক্ষণ করতে হবে কাচের বোতলে তাহলে এর গুণাগুণ থাকবে অটুট। মধু রেফ্রিজারেটরে বা গরম স্থানে রাখা যাবে না। মধুর বোতলের মুখ খোলা রাখা যাবে না।
খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায়:
১. অপ্রক্রিয়াজাত খাঁটি মধুতে সাদা ফেনা বা বুদবুদের মতো দেখা দেবে। যার মাধ্যমে বোঝা যায় মধুতে কোনো রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হয়নি।
২. একটা সাদা কাপড়ে সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে হবে। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়ার পর দাগ থাকলে বোঝা যাবে- এটি খাঁটি মধু।
৩. রেফ্রিজারেটরে রেখে দিলেও খাঁটি মধু ঠান্ডা হয়ে জমে যাবে না।
৪. একটা সুতি কাপড় প্রথমে পানিতে পরে খাঁটি মধুতে ভিজেয়ে আগুনের কাছে নিলে আগুন জ্বলবে ও পটপট শব্দ হবে।
৫. ভিনিগারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সহজেই মধুর মান নির্ণয় করা যায়। ভিনিগার গোলানো পানিতে কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে মেশাতে হবে। যদি মিশ্রণে ফেনা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে সেটা ভালো মধু নয়।
এমন অসংখ্য পদ্ধতি আছে খাঁটি মধু চেনার। কথায় আছে ৪০ বছরেও মধু নষ্ট হয় না। আসলেই তাই, প্রাকৃতিক মধু কখনোই নষ্ট হবে না যদি একটু সর্তক থাকা যায়।
কেননা প্রাকৃতিক মধু নষ্ট হয় শুধু পানিতে, তাই এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, যেন মধুতে পানি না লাগে। এমনিতে অপ্রক্রিয়াজাত মধুতে প্রাকৃতিকভাবে পানি থাকে।
সেই পানিতে মধুতে কোন সমস্যা হয় না। সমস্যা হয় আলাদাভাবে বাহিরের পানি মধুতে মিশলে। সেই পানি মধুর প্রকৃত ঘ্রাণ ও টেস্ট নষ্ট করে দেয়। মধু রেফ্রিজারেটরে বা গরম স্থানে রাখা যাবে না। মধুর বোতলের মুখ খোলা রাখা যাবে না।
বলে রাখা ভালো, মধু অনেকদিন পর প্রাকৃতিকভাবে নিজেই তার ঘ্রাণ ও টেস্ট বদল করে। সেইসঙ্গে বদল করে রঙ ও ঘনত্বও। এই বদল মধুকে আরও বেশি সুস্বাদু ও টেস্টি করে তোলে।