ফরিদপুরে অভিযান চালিয়ে তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।
আটকরা হলেন- ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া এলাকার শামীম আহম্মেদ, সদরপুর থানার ঠ্যাংগামারী গ্রামের পান্নু শেখ ও সুমন।
ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. জামাল পাশা বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি সকালে রিকশাযোগে ফজলুল করীম নামে এক ব্যক্তি বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে শহরের ঝিলটুলী এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন।
ছিনতাইকারীরা নম্বরপ্লেটবিহীন একটি মোটরসাইকেলযোগে এসে রিকশার গতিরোধ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে দুটি আইফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যান। এ নিয়ে ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্তে নামে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে এ ঘটনার এক ছিনতাইকারী নগরকান্দা উপজেলার তালমা এলাকায় অবস্থান করছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামিম হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা নগকান্দার উপজেলার তালমা এলাকায় ছিনতাইকারী শামীমকে আটক করতে যায়।
এ সময় পুলিশ সদস্যদের ছুরিকাঘাত করে সে। এ সময় এসআই শামীম ও পুলিশকে সহায়তাকারী পথচারী আনোয়ার ছুরিকাঘাতে আহত হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ছিনতাইকারী শামীমকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য মতে, জেলার সদরপুর উপজেলা থেকে আরও দুই ছিনতাইকারী পান্নু ও সুমনকে আটক করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শহরের বাইপাস এলাকায় তাদের গোপন আস্তানার কথা জানায় পুলিশকে।
সে আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরি দুটি পিস্তল, একটি চাকু, একটি রামদা, চার রাউন্ড গুলি, ২০০ পিস ইয়াবা এবং ছিনতাই হওয়া বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ জব্দ করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলও।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানা ও নগরকান্দা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।